আকার বাড়ছে ডিএসসিসি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৮, ০১:২৬

সাহস ডেস্ক

আকার বাড়ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের। গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর ৫০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর এ বাজেটের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩৩৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

বুধবার (২৫ জুলাই) ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবারের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন।

সূত্রমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ হাজার ১২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা সরকারি ও বৈদেশিক খাত থেকে আয়ের জন্য ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র ৫৮ শতাংশ পেয়েছে ডিএসসিসি। এবার এই খাত থেকে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া আয়ের অন্য খাত প্রায় একই রকম রয়েছে।

ডিএসসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা খাদেমুল করিম জানান, গতবারের তুলনায় এবার বাজেট বড় হবে। বাজেটে সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ ও সড়ক-নর্দমা খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পরিকল্পনার চেয়ে রিকশা লাইসেন্স ফি আদায় হয়েছে বেশি। গত অর্থবছরে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর আদায় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। একই অবস্থা বিজ্ঞাপন কর -এর ক্ষেত্রেও। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ লাখ টাকা বেশি আদায় করেছে ডিএসসিসি। গত অর্থবছরে বিজ্ঞাপন কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রমোদ কর আদায় করতে পারেনি সংস্থাটি। গত অর্থবছরে প্রমোদ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৫ লাখ। আর আদায় হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা। বাস/ট্রাক টার্মিনাল থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২ কোটি টাকা। পশুর হাট ইজারা থেকে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ১ লাখ টাকা। আর ইজারা বাবদ আয় হয়েছে ৭ কোটি ৮৬ হাজার টাকা।

টয়লেট, ঘাট, কাঁচাবাজার ইত্যাদি ইজারা থেকে গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া জবাইখানা বাবদ আয় ধরা হয়েছে ৯ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ৪ লাখ টাকা। রাস্তা খনন ফি বাবদ আয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা কিন্তু আদায় হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শিশু পার্ক থেকে আয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে বিভিন্ন ফরম বিক্রি বাবদ টাকা। কমিউনিটি সেন্টারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। কবরস্থান/শ্বশান ঘাট থেকে ৭০ লাখ টাকা আয় ধরা হলেও আদায় হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ ৬৫ কোটি টাকা আয় ধরা হলেও আদায় হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত