রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৬, ২০:০৭

সাহস ডেস্ক

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতের পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার; যা সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার রপ্তানি আয়ের নতুন লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি জানান, সমাপ্ত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত তথ্য জানার পর এক সভায় চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে।


বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ডলার। এতে ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। আগামীতে এই লক্ষ্য অতিক্রম করবো।

তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের নতুন লক্ষ্য পূরণে তৈরি পোশাক খাতে যে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন- তার সবই দেবে সরকার।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমাদের জন্য ‘নতুন মাইলফলক’। এর আগের অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩ দমশিক ৩৯ শতাংশ। দেশ স্থিতিশীল থাকলে কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়- তা আমরা দেখেছি।

তিনি বলেন, এই বছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বছর শেষে তা ছাড়িয়ে ৩৪ দশমিক ২৪১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১০ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এর অন্যতম কারণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। একইসঙ্গে রানা প্লাজা ধসের পর যে ধাক্কা ছিল, সেটা আমাদের তৈরি পোশাক খাত সামলে উঠে আন্তর্জাতিক বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ফলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়েছে রপ্তানি আয়।

গুলশান হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, দেশবাসী তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। এই জাতির অগ্রগতিকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

২০২১ সালে কেবল তৈরি পোশাক থেকেই ৫ হাজার কোটি ডলার আয় করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

প্রসঙ্গত, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩ হাজার ১২০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এর সময়ে বিভিন্ন খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত