দেশে রিজার্ভ প্রবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক সব সূচকই বৃদ্ধি পেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০১৬, ১৭:০৬

সাহস ডেস্ক

দেশে কর্মসংস্থান বাড়িয়ে বেকারত্বের হার কমাতে হবে। দেশের যুব সমাজকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার(২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুই বছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশে ব্যবসা করতে আসেনি, ব্যবসায়ীদের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য-দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করা। তাঁর সরকার ক্ষমতা নেওয়ার আগে দেশের রপ্তানি আয় ছিল ১৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেড়েছে রিজার্ভ প্রবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক সব সূচকই। তাই দেশে এখন ব্যবসা বাণিজ্যের সুন্দর পরিস্থিতি রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের আরো বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যের বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা পর্যায়ে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করেছেন। সর্বমোট ৫২টি স্বর্ণ, ৩৭টি রৌপ্য এবং ২৪টি ব্রোঞ্জ ট্রফি ও সনদ দেওয়া হয়।

২০১১-১২ অর্থবছরে ২৪টি পণ্য ও সেবা খাতে ২৪টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৮টি পণ্য ও সেবা খাতে ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য এবং ৯টি পণ্য খাতে ৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়।

পণ্য খাতে ‘জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লি.’ সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১-১২ অর্থ বছরের স্বর্ণ ট্রফির জন্য মনোনীত হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উপব্যবস্থপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ জাবের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন।

২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৬টি পণ্য ও সেবা খাতের ২৬টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৯টি পণ্য ও সেবা খাতে ১৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য এবং ১৫টি পণ্য খাতে ১৫টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হয়। ওই বছরের জন্য পণ্য খাতে সর্বোচ্চ রপ্তানির জন্যও ‘জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লি.’কে স্বর্ণ ট্রফি দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত ২৪টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- হামীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস, স্কয়ার ফ্যাশনস, স্কয়ার টেক্সটাইলস, নোমান উইভিং, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, এপেক্স ফুডস, পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ, আকিজ জুট, এপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফবি ফুটওয়্যার, অ্যাগ্রি কনসার্ন, প্রাণ এক্সপোর্টস, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, ইউনিগ্লোরি সাইকেল, তানভীর পলিমার, বেক্সিমকো ফার্মা, সার্ভিস ইঞ্জিন, ইউনিভার্সেল জিন্স, শাশা ডেনিমস ও মন ট্রিমস।

ওই অর্থবছরে রৌপ্যপদক প্রাপ্ত ১৮টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- অনন্ত অ্যাপারেলস, জিএমএস কম্পোজিট, মোশারফ কম্পোজিট, এনভয় টেক্সটাইল, সীমার্ক (বিডি), এফ আর জুট, জনতা জুট, এস এফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আর এম এম লেদার, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ অ্যাগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, এভারব্রাইট প্লাস্টিক, ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল, আল-হাবিব এন্টারপ্রাইজ, গ্রাফিক্স পিপল ও জিন্স-২০০০।

ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্ত নয়টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-সিনহা ইন্ডাস্ট্রিজ, ফোর এইচ ফ্যাশনস, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং, প্যারামাউন্ট টে´টাইল, কুলিয়ারচর সি ফুডস, রেজা জুট, করিম জুট, আল-আজমী ট্রেড ও প্রাণ ফুডস।

২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য স্বর্ণপদকপাপ্ত ২৬টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- রিফাত গার্মেন্টস, জিএমএস কম্পোজিট, কামাল ইয়ার্ন, সাদ সান টেক্সটাইল, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের, নোমান টেরিটাওয়েল, এপেক্স ফুডস, পপুলার জুট, আকিজ জুট, এপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফ বি ফুটওয়্যার, আল আজমী ট্রেড, প্রাণ ডেইরি, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, বিআরবি কেবল, মেরিন সেইফটি সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মা, গ্রাফিক্স পিপল, ইউনিভার্সেল জিন্স, শাশা ডেনিমস, মুন ট্রিমস ও মীর টেলিকম। এই ২৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি প্রতিষ্ঠান গত অর্থবছরের জন্য পদক তালিকায় রয়েছে।

১৯টি রৌপ্যপদক প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- অনন্ত অ্যাপারেলস, স্কয়ার ফ্যাশনস, বাদশা টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইল, ইউনিলারেন্স টেক্সটাইল, সীমার্ক (বিডি), রেজা জুট, জনতা জুট, এসএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আর এম এম লেদার, লালমাই ফুটওয়্যার, মনসুর জেনারেল, প্রাণ অ্যাগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, বেঙ্গল প্লাস্টিক, সার্ভিস ইঞ্জিন, প্যাসিফিক জিন্স ও জাবের অ্যান্ড জোবায়ের এক্সেসরিজ।

ব্রোঞ্জপদক পাওয়া ১৫ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- অ্যাপারেল গ্যালারি, ইন্টারস্টফ অ্যাপারেলস, মোশারফ কম্পোজিট, তালহা ফেব্রিক, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, উত্তরা জুট, সাদাত জুট, বেঙ্গল লেদার, এবিসি ফুটওয়্যার, ফুটবেড ফুটওয়্যার, এলিন ফুডস, প্রাণ ফুডস, হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স, আরএফএল প্লাস্টিক ও ইউনিনেগ্নারি পেপারস অ্যান্ড প্যাকেজিং।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত