ইকোনোমিক জোনসমূহে কর্মসংস্থান ও দক্ষতার চাহিদা বিষয়ক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৫৯

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস অথরিটি (বেজা) এর যৌথ আয়োজনে ‘ইকোনোমিক জোনসমূহে কর্মসংস্থান ও দক্ষতার চাহিদা’ বিষয়ক গবেষনার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। 

২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসএসএফ ব্রিফিং রুমে এ বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী; বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম. আমিনুল ইসলাম। ইকোনোমিক জোনসমূহে কর্মসংস্থান ও দক্ষতার চাহিদা বিষয়ক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনা করেন এটুআই প্রোগ্রামের হেড অব রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট ড. রমিজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের পরিচালক (ইনোভেশন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের অন্যতম বিষয় ছিল দক্ষ মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এটুআই প্রোগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো ‘কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা’, যা সবার জন্য যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ ও মাথাপিছু রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) এর আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি করছে যেখানে ১ কোটি দক্ষ জনশক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ইকোনমিক জোনসমূহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা পালন করবে। ইকোনমিক জোনসমূহের মানবসম্পদ ও দক্ষতা চাহিদা নিরুপণের লক্ষ্যে বেজা ও এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। এ গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ইকোনমিক জোনভূক্ত শিল্প-প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ দক্ষ জনবল তৈরি করবে। এ মতবিনিময় সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সরকারের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ইকোনোমিক জোনসমূহের কর্মসংস্থান ও দক্ষতার চাহিদা বিষয়ক ধারনা প্রদান করা। মতবিনিময় সভায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ (ব্যুরো), সমাজসেবা অধিদপ্তর, এসএমই ফাউন্ডেশনসহ সরকারের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান, ইকোনমিক জোনের প্রধান, জোনভূক্ত শিল্প-প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

‘সমাজের কোন অংশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন নয়’-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যকে মূলমন্ত্র ধরে এটুআই প্রোগ্রামের তরফ থেকে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সাথে এপ্রেনটিচশিপ (শিক্ষানবিশি)-এর মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য তৈরি পোশাক বিষয়ক দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, সাধারণ শিক্ষার সাথে কারিগরী শিক্ষার সমন্বয়, ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের দক্ষতার চাহিদা নিরূপণ, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনগণের জন্য ইমাম বাতায়ন, কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিদেশ গমনেচ্ছুদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্য।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট আসাদ-উজ-জামানসহ এটুআই, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), উন্নয়ন সংস্থা ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত