লাশ হস্তান্তর
মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েই লিপুর মৃত্যু
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:৪১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন ওরফে লিপুর (২২) লাশ তার চাচার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লিপুর লাশ গ্রহণ করেন তার চাচা বশির মোল্লা। এর আগে দুপুরে সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
এরপর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নিহত লিপুর মাথার ডানপাশে গুরুতর আঘাত ছিল। ভাঙা পাওয়া গেছে তার পাঁজরের দুটি হাড়। এছাড়া ডান হাত ও দুই পায়েও আঘাতের চিহ্ন ছিল। মূলত মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েই লিপুর মৃত্যু হয়েছে।
মর্গে লাশ নিতে গিয়ে লিপুর চাচা বশির মোল্লা বলেন, গত মঙ্গলবার/বুধবার লিপু গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন। তিনি তাকে বাইসাইকেলে করে গ্রামের মোড়ে রেখে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাবির বিভাগ থেকে তাদেরকে লিপুর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতেন লিপু। থাকতেন রাবির আবদুল লতিফ হলের ২৫৩ নম্বর কক্ষে। বৃহস্পতিবার সকালে হলের পেছনে ডাইনিংয়ের পাশের একটি নালা থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আসর রাবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে লিপুর লাশের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
লিপুর গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মুকিমপুর গ্রামে। তার বাবা বদর মোল্লা একজন ট্রাক চালক। বদরের তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে লিপু ছিলেন সবার বড়। লিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ ও তার সহপাঠীরা। যদিও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, লিপু যে কক্ষে থাকতেন সে কক্ষসহ আশপাশের কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু লিপু মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। লিপুর রুমমেটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বে সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।