ঝালকাঠিতে কোচিং সেন্টারগুলোর অশুদ্ধ বানানে পোস্টারিং

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:৫৪

রাজু খান

বছরের শুরুতেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে কোচিং সেন্টার। মানহীন শিক্ষকরা সেখানে পাঠদান করাচ্ছেন। অন্য কোথাও কোনো চাকরি না পেয়ে কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতায় ঢুকে পড়েছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা। আবার সংসার সামলানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় করার জন্যও এসব কোচিংয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন অনেক গৃহিণী। পড়ানো হচ্ছে অননুমোদিত মানহীন সহায়ক বই। ফি নির্ধারিত হচ্ছে কোচিং মালিকের ইচ্ছামাফিক।

পাড়া-মহল্লায় অতি স্বল্প পরিসরে গড়ে ওঠা এসব কোচিং শুধু মাত্র বাণিজ্যিক উদ্যেশ্যেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় কোচিং সেন্টারের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই কোন দপ্তরেই। এসব প্রতিষ্ঠান কারা পরিচালনা করছে, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী, শিক্ষার্থীদের কী শেখানো হচ্ছে এবং এমনকি দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার চেতনা পরিপন্থী কারিকুলাম পাঠদান করা হচ্ছে কিনা তাও দেখভালের কেউ নেই। নিজেদের টাকা খরচ করে প্রতিষ্ঠাতারা এসব কোচিং প্রতিষ্ঠা করছেন। সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় বর্তমানে এদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

ঝালকাঠি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর রুস্তম আলী বলেন, ঝালকাঠি জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় অনেক কোচিং গড়ে উঠেছে। যেখানে নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা নেই। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় নয় বেশিরভাগ কোচিং সেন্টারই গড়ে উঠেছে শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যবসার উদ্যেশ্যে। যেখানে শিক্ষকদের শিক্ষার কোন মান নেই। অল্প বেতনে মোটামুটি শিক্ষিত যাকে পাচ্ছে তাকে দিয়েই পাঠদান করাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সঠিক কোন পরিচালনা কমিটি নেই।

পুস্তক ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে মানহীন বই পাঠ্য করে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বিশাল বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের শিক্ষার মান নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে প্রচারিত লিফলেট ফেস্টুনে রয়েছে অসংখ্য অশুদ্ধ বানান। তবে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করতে তারা বিভিন্ন চটকদারী বিজ্ঞাপন বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে। শহরে বের হলেই ফেস্টুন, পোস্টার, লিফলেট ও মাইকিংয়ে প্রতারণামূলক প্রচার চালাচ্ছে।

ঝালকাঠিতে নবগঠিত সানরাইজ কোচিং সেন্টারের পোস্টারে দেওয়া “বিজ্ঞাণ ও রসায়ণ” লেখায় মূর্ধন্য বিষয়টি জানার জন্য ০১৭...................২ নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে নাম পদবী না বলেই তিনি জানান, বানানটি প্রুফ দেখার সময় ব্যস্ততা ছিলো তাই সমস্যা হয়েছে। তাহলে অশুদ্ধ বানান দিয়ে পোস্টার মার্কেটিং করেছেন কেন জানতে চাইলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত