ঢাবিতে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৪

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৫৬

সাহস ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলে বৃহস্পতিবার রাতে বারান্দার সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের চার কর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ঢামেক হাসপাতালে।

আহত চারজন হলেন সভাপতির পক্ষের কর্মী শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সংগীত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের রায়হান কবির, উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের তুহিন ও নৃত্যকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ।

আহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ওই চারজনের মধ্যে একজন অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুদিন আগে এসএম হলের বারান্দায় একটি সিটের দখল নিয়ে প্রথম বর্ষের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কয়েকজন সমর্থক সভাপতি পক্ষের প্রথম বর্ষের দুজনকে মারধর করেন। ওই সংঘর্ষের জেরে গতকাল রাতে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের কয়েকজন হলের দোতলায় উঠলে সভাপতি পক্ষের সমর্থকরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তাঁরা হলের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ, হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হলের ফটকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস বলেন, ‘সিট নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারি হয়। তেমন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি, যা ঘটেছে, আমরা মিটিয়েছি।’
হলের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল  জানান, সিট দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এলে তা মিটে যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান  বলেন, হলে তেমন কিছু হয়নি। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল। সেটি মিটে গেছে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, ‘হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি হয়েছিল। আমরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করি। দোষীদের শনাক্ত করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান ধর্ষণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই সব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত