বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৬

অনলাইন ডেস্ক

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। 

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন,কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. অশোক কুমার বিশ্বাস এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা। আর এ শ্রেষ্ঠ অধ্যায়ের মহানায়ক হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সমার্থক। বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের প্রতি ছিল তার সীমাহীন দরদ ও ভালবাসা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, লক্ষ্য বাস্তবায়িত হলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখানো হবে। তার আদর্শ বাস্তবায়নে শপথ নিতে হবে। 

নতুন প্রজন্মকে কারিগরি শিক্ষা গ্রহনে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শতকরা ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি বিষযে পড়াশুনা করছে। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে এবং ২০৩০ সালে তা শতকরা ৩০ ভাগে উন্নীত হবে।

ঢাকা কলেজে শোক দিবসের আলোচনা 
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে ’জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ উপলক্ষে ঢাকা কলেজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। তিনি তাদেরকে স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করার আহবান জানান। আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে বরেও মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বন্যায় যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সাধারণ মেরামত কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়বে। আবারও পূর্নাঙ্গ তালিকা করে ছোট-বড় সব ধরনের মেরামতের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করে তা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। 

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোয়াজ্জম হোসেন মোল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান এবং কলেজের উপাধ্যক্ষ নেহাল আহমদ।