সিরাজগঞ্জে শিক্ষকের দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরির অভিযোগ

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫৩

সোহাগ লুৎফুল কবির

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের কেয়া খন্দকার নামের এক শিক্ষক নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ নামের দুই প্রতিষ্ঠানের চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া তিনি নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের ভাতিজি হওয়ার সুবাধে ওই শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ম্যানেজিং কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামে আব্দুস সামাদের মেয়ে ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে  নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সে সময় থেকে তিনি ওই কলেজে নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন। কলেজ থেকে সম্মানীভাতাও পান। তাছাড়াও কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে কলেজের ম্যানেজিং কমিটিতে রয়েছেন।

এছাড়া ২০১৫ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পান। ওই বছর জানুয়ারির ১৪ তারিখে তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিজ গ্রাম নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও কলেজের কর্মস্থলে ইস্তফা দেননি। তিনি গ্রামের বাড়ির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালে ক্লাস নিতেন আর দুপুরের পর হতে নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজে গিয়ে ক্লাস নিতেন।

নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা পারভীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।

তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন জানান, এক সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অন্যায় ও বিধি বহির্ভূত। বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। এ জন্য আমার কিছুই করার নেই।

জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার আবু সাইদ বলেন, কেয়া খন্দকার আমার ভাতিজি কিন্তু সে কলেজে বেতন এখনও পান না। কিছু সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়। কলেজ কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে তাকে রাখা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। 

এ ব্যাপারে কেয়া খন্দকার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, কলেজে আমার বেতন হলে নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দেব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত