পাঠ্যবই নির্ভুল ও সুখপাঠ্য করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২৮

অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ফটো

পর্যায়ক্রমে সকল পাঠ্যবই নির্ভুল ও সুখপাঠ্য করে শিক্ষার মান উন্নয়ন চেষ্টা অব্যাহত রাখতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভুল ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই পায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নবম-দশম শ্রেণির ৬টি পাঠ্য বইয়ের পরিমার্জিত কপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

আজ নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের ১২টির বইয়ের মধ্যে ৬টি পাঠ্য বইয়ের পরিমার্জিত কপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন টিমের সদস্যগণ আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে এসব বইয়ের কপি হস্তান্তর করেন।

পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সদস্য ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদসহ ২২ সদস্য টিমের অন্যান্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সরকার নির্ভুল পাঠ্য বই প্রণয়নে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করেছে।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং পাঠ্যবই পড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়বে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে দেশের পাঠ্যবই নির্ভুল করা আরো সহজ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে তাদের ভবিষ্যত লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা করে থাকে। তাই এ বছর নবম ও দশম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যবই দিয়ে সুখপাঠ্য করার লক্ষ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে এই বইগুলো অনেক আকর্ষণীয় ও সহজপাঠ্য হবে। বইয়ের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, ‘নতুন পরিমার্জিত বইগুলো আগামী বছর শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব। পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অন্যান্য বইয়ের মানও বাড়ানো হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বইগুলোর মান উন্নত করা হয়েছে। এর ফলে পাঠ্যপুস্তকের মানের দৃশ্যমান অগ্রগতি হল। এগুলোর উপস্থাপনা সুন্দর ও বইগুলো সুখপাঠ্য হবে। শিক্ষার্থীরা পড়ে নিজেরাই বুঝতে পারবে।

নতুন পরিমার্জিত বইগুলোকে চমৎকার উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ের মান বৃদ্ধির প্রভাব অন্যান্য ক্ষেত্রের মান বৃদ্ধিতেও পড়বে। এজন্য শিক্ষকের মান বৃদ্ধি ও ভৌত অবকাঠামো সুন্দর হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষকদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা আরো জোরদার করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার মান কমছে না, বাড়ছে। তবে আমরা যে মানে পৌঁছতে চাই, সেটা হয়ত হচ্ছে না। শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা সারা জগতের চ্যালেঞ্জ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার ফলে বিরাট উৎসাহ সৃষ্টি করছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলমুখী করছে। এখন সকল শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। যদিও ঝরে পড়া এখনও চ্যালেঞ্জ।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সমন্বয়ক চৌধুরী মুফাদ আহমদ, সদস্য ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে বইগুলোর সিডিও তুলে দেয়া হয়।