সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনোভেশন হাব’ প্রতিষ্ঠা করবে এটুআই

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৪

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনোভেশন হাব’ তৈরীর লক্ষ্যে সকল উপাচার্যদের নিয়ে একটি ‘উপাচার্য সম্মেলন’ আয়োজন করেছে।

১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিউট এর মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, এমপি মোবাইল ফোনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।

উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে বেগবান করতে এটুআই প্রোগ্রাম প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনোভেশন হাব’ তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে যার মধ্য দিয়ে নাগরিক সমস্যার বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান তৈরি হবে। প্রত্যেকটি হাবের তত্ত্বাবধায়নে থাকবে এক্সিকিউটিভ কমিটি যাতে থাকবেন একজন হাব ফোক্যাল পার্সন, উপদেষ্টামণ্ডলী, এবং কিছু মেন্টর। এছাড়া সকল হাবকে এক সুতোয় বাঁধতে আছে একটি অনলাইন পোর্টাল (http://ilab.gov.bd/)। যেখানে কমিটির সদস্যরা নিবন্ধিত হবেন এবং এটুআই প্রোগ্রামের আইল্যাবের সাথে সহজেই সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। ইনোভেশন হাবের আওতায় আসা উদ্ভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহজেই এই পোর্টালে নিবন্ধিত হয়ে যেকোনো সময় ব্যান্সডক-এ সংগৃহীত গবেষণাপত্র, জার্নাল, ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবে এবং অনলাইনে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ পেতে পারবে। এছাড়াও থাকবে প্রোফাইল সংরক্ষণের সুযোগ, মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদান, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি, অন্যান্য ল্যাবের সাথে যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক স্থাপন, বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ, প্রকাশনা, বৃত্তিসহ আরো অনেক সুযোগ সুবিধা। গবেষক-উদ্ভাবকগণ “গবেষণাপত্র কনফারেন্স”-এ গবেষণা প্রদর্শন ও প্রণোদনার সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, দেশব্যাপী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে উদ্ভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এটুআই প্রোগ্রাম ২০১৩ সাল থেকে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬,০০০ এর অধিক তরুণ উদ্ভাবক এই উদ্ভাবনী জোয়ারের সংস্পর্শে এসেছে। ইতোমধ্যে ১৭০টি প্রকল্পকে ‘সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড’ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ৩০টির অধিক প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে; উদ্ভাবন বিষয়ে তরুণদেরকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা ‘সল্ভ-এ-থন’-এ শ্রেষ্ঠ ১১টি প্রকল্পকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ১টি প্রকল্প ‘সেন্ট্রাল নেবুলাইজার সিস্টেম’ জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে বাস্তবায়িত হয়েছে; নারীদের সমস্যা সমাধানে ‘উইমেন্স ইনোভেশন ক্যাম্প’-এর মাধ্যমে নারীরাই এগিয়ে এসেছে এবং বাল্য বিবাহ রোধে ও ভূ-উপরিস্ত পানি ব্যবহার করে সেচ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পৃথক চ্যলেঞ্জ ফান্ড বাস্তবায়ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে এই উদ্যোগটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্যে এবং সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করার জন্যে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরসমূহ, এবং সর্বোপরি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকমণ্ডলীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে অনুরোধ করেন দ্রুত আই-ল্যাব এর পোর্টালে নিবন্ধিত হবার জন্যে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান, এবং সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিনিধিগণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এটুআই প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত