রাবিতে ‘সাম্প্রদায়িক’ প্রশ্নের অভিযোগে দুই শিক্ষক নিষিদ্ধ

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:০৫

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলায় ‘আই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সাম্প্রদায়িক’ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা নিয়ে প্রশ্ন উঠার দায়ে দুই শিক্ষককে আগামী ১০ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চারুকলার অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া শিক্ষক জিল্লুর রহমানের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদন্নোতি হওয়ার সময় এলে সে সময় থেকে আরো ৫ বছর পরে তিনি পদোন্নতি পাবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সিন্ডিকেট সদস্য মামুন আ. কাইউম।

তিনি বলেন, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে অধিকর্তার পদ থেকে অব্যাহতির জন্য আইনগত কোনো বাধা যদি না থাকে, তাহলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

গত ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চারুকলা অনুষদের ‘আই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দুই নম্বর সেটের ৭৬ নম্বর প্রশ্নটি ছিল- ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? উত্তরের জন্য দেওয়া চারটি অপশন ছিল- (ক) পবিত্র কুরআন শরীফ (খ) পবিত্র বাইবেল (গ) পবিত্র ইঞ্জিল (ঘ) গীতা। গীতার আগে ‘পবিত্র’ ছিল না।

একই সেটের ৪১ নম্বর প্রশ্নটি ছিল- মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপর মায়েনমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে?

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে এ দুইটি ‘সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন’ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এ ধরনের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

গত ২৮ অক্টোবর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর ইসমাইল ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সেসময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত