‘আমি ভাঙচুরকারী আমাকে গ্রেপ্তার কর’

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:৩৬

সাহস ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও তার কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ৫০ অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে গভীর রাত থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়েছেন দুই ছাত্র। তারা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র রাজীব কুমার দাশ এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মাহির শাহরিয়ার রেজা।

তাদের দুই পাশের দুটি প্ল্যাকার্ডে লেখা- ‘আমি ভাঙচুরকারী আমাকে গ্রেপ্তার কর’, ‘আমি আন্দোলনকারী আমাকে গ্রেপ্তার কর।’

১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ২টা থেকে টিএসসির সামনে ওই ভাস্কর্যের বেদীর ধাপে বসে আছেন।

রাজীব কুমার দাশ বলেন, আমিও ওই দিনের ঘটনায় ভাঙচুর করেছি, আন্দোলন করেছি। পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করুক।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাশ বলেন, প্রশাসন ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করলে এর ফল হয় উল্টো, এতে ছাত্রদের আন্দোলনের গতি বাড়ে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি (সোমবার) ঢাকার সাত সরকারি কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবির কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করে। এসময় শিক্ষার্থীদের ওপর উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে চড়াও হয় ছাত্রলীগ। ওই দিন ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রীদের নিপীড়ন করে বলেও আন্দোলনকারীদের অভিযোগ।

এর প্রতিবাদে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে গত ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও করতে যায় একদল শিক্ষার্থী। তাদের আসতে দেখে ওই কার্যালয়ের ফটকে তালা আটকে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা কলাপসিবল গেইট ভেঙে ফেলেন। ‘ছাত্রী নিপীড়নে’ জড়িত ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার এবং তদন্ত কমিটি করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে প্রক্টরকে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সেখান থেকে ফিরে যায় আন্দোলনকারীরা। ১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান খান ফটক ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। 

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত