ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৭:২৫

সাহস ডেস্ক

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর যৌথ আয়োজনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত ৬৪ জন জেলা শিক্ষা অফিসারের অংশগ্রহণে “‌ডি‌জিটাল বাংলাদেশ: শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার” বিষয়ক দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজিত হয়।

৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মনিটরিং, প্রশিক্ষণ ও মেন্টরিং নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ হামিদুল হক। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।

কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গুণগত পরিবর্তন আনয়নে ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে শিক্ষকদের আরও যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলা। পাশাপাশি সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে জেলা শিক্ষা অফিসারগণ কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন সে সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদান করা। এ কর্মশালায় কিশোরদের জন্য নির্মিত বাতায়ন “কানেক্ট” (http://konnect.edu.bd/), শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নে “শিক্ষক বাতায়ন” (https://www.teachers.gov.bd/), মুক্তপাঠ (muktopaath.gov.bd/) এর মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, অ্যাম্বেসেডরদের মাধ্যমে শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার, রিয়েলটাইম মনিটরিং-মেন্টরিংসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা ২০৩০ অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, এবং তার অধীন দপ্তরসমূহ যৌথভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে যার মধ্যে দিয়ে সবার জন্যে উন্নত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। শিক্ষা অফিসারগণ শিক্ষায় উদ্ভাবনী চর্চায় আরও উৎসাহিত হচ্ছেন এবং শিক্ষকগণ ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারে আরও বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক সমাজ সর্বোপরি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই প্রোগ্রামের ই-লার্নিং স্পেশালিস্ট প্রফেসর ফারুক আহমেদ, মাউশি-র পরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মালেক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত