শিক্ষা প্রশাসনের আলোচিত ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৪২

সাহস ডেস্ক

প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ব্যাপক আলোচনায় থাকা শিক্ষা অধিদফতর ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন কার্যালয়ের ৩০ জন কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। 

এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও বিদ্যালয় পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক; জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এ ধরনের ৩০ জন কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন এলাকার কলেজে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তাদের মধ্যে সাতজন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা হলেন ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এ টি এম মঈনুল হোসেন, উপপরিচালক ফজলে এলাহী, উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হক, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুদা বেগম, উপ–কলেজ পরিদর্শক ও শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ এবং উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়।

বদলি হওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা হলেন তদারক ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক মো. সেলিম, উপপরিচালক মেসবাহ উদ্দিন সরকার, এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার, শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি, খ ম রাশেদুল হাসান, সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, খুলনা, যশোর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, জয়পুরহাট, ফেনী, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, ভোলা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুরের বিভিন্ন কলেজে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির দুই কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার ও ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর মন্ত্রণালয়, মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডে বদলি আতঙ্ক শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, বদলি হওয়া শিক্ষা ক্যাডারের এসব কর্মকর্তারা সরকারি কলেজে ক্লাসে পড়াতে আগ্রহী নন। তারা প্রশাসনিক পদে থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে দীর্ঘদিন ধরে এসব পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। চাকরিবিধি অনুযায়ী এক পদে তিন বছরের বেশি থাকার বিধান না থাকলেও এসব কর্মকর্তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পাঁচ থেকে ১২ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। একই পদে বহাল থাকার জন্য পদোন্নতি পর্যন্ত নেননি অনেক কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত