শুভ জন্মদিন সঞ্জীব চৌধুরী

প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:০৫

অনলাইন ডেস্ক

শিল্পীরা সময়ের প্লাবনে একসময় হারিয়ে যায় কিন্তু হারায় না তাদের গাওয়া গান, গানের সুর, কথা। শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী সেই কবে গেয়েছিলেন- ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘আমি ফিরে পেতে চাই’, ‘তোমার ভাঁজ খোল আনন্দ দেখাও’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা’, ‘কালা পাখি’, ‘কোথাও বাঁশি’। যে গানগুলো এখনো মানুষের হৃদয়ে, মুখেমুখে চির সবুজের মত সজীব হয়ে আছে।
 
দেশের সঙ্গীত ইতিহাসে উজ্জ্বল একটি নাম প্রয়াত সঞ্জীব চৌধুরী। তার হাত ধরেই সৃষ্টি ব্যান্ড ‘দলছুট’। শুধু তার গায়কীর জন্য শুধু নয়, তার সুর ও গানের কথাগুলো আজও মানুষের মনে চিরস্থায়ী। আজ এই গুণী মানুষটির জন্মদিন।
 
গুণী এই শিল্পী মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। তার লেখা অনেক গান, গানের কথা, সুর আজও এ প্রজন্মের শিল্পীদের অনুপ্রেরণা যোগায়।
 
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জীব। তার বাবার নাম গোপাল চৌধুরী এবং মা প্রভাষিণী চৌধুরী। পরিবারে নয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। পরে ঢাকার এসে বকশী বাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে ১৯৭৮ মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৮০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সেখানেও মেধা তালিকায় স্থান করে নেন তিনি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হলেও বিভিন্ন কারণে তা শেষ না করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
 
গানের পাশাপাশি সঞ্জীব চৌধুরী একজন খ্যাতনামা সাংবাদিকও ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনে কাজ করেছেন। তিনি স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনেরও একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
 
তার সংগীতচর্চা শুরু হয় ‘শঙ্খচিল’ নামের ব্যান্ড দল দিয়ে। এরপর ১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে বর্তমানের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড ‘দলছুট’ গঠন করেন এবং পরবর্তীতে সঞ্জীব চৌধুরীর কথা ও বাপ্পার সংগীতায়োজন দলটিকে একটি ভিন্ন মাত্রা দেয়।
 
সঞ্জীব চৌধুরীর প্রকাশিত এ্যালবামগুলোর মধ্যে, আহ্ (১৯৯৭), হৃদয়পুর (২০০০), আকাশচুরি (২০০২), জোছনা বিহার (২০০৭) উল্যেখযোগ্য।