‘বেগমজান’-এ চাঙ্কি পাণ্ডের লুক

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৪৬

সাহস ডেস্ক

ছোট করে ছাঁটা চুল, চোখে সুরমা। মুখে কয়েক দিনের না কামানো দাড়ি। দাঁতে পান-খয়ের-তামাকের গাঢ় ছোপ। এই হলো চাঙ্কি পাণ্ডের নতুন লুক। নব্বইয়ের দশকের সেই হাসিখুশি হিরো নন। বরং ধূর্ত, লোভী এক মানুষের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এ যেন এক অভিনেতার নবজন্ম। ‘বেগমজান’-এ একেবারে নয়া অবতারে। বিদ্যা বেগমের পাশাপাশি তাই স্পটলাইট কাড়ছেন চাঙ্কিও।

প্রায় তিন দশকের বেশি বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন চাঙ্কি পাণ্ডে। সোলো হিরো হিসাবে কেরিয়ার শুরু সেই ১৯৮৭-এ। নীলমের বিপরীতে চাঙ্কির ‘আগ হি আগ’ দর্শক মাতালেও ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য অধরাই থেকেছে তার। তবে তারই মাঝে ‘তেজাব’-এর বব্বনকে এখনও অনেকে মনে রেখেছেন। অনিল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিতের পাশাপাশি এন চন্দ্রার ফিল্মে সেই চরিত্রের জন্য ১৯৮৮-এর সেরা সহ-অভিনেতার মনোনয়নও পান তিনি। তবে এরপর আর সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। বলিউড থেকে যেন ধীরে ধীরে অস্ত যাচ্ছিলেন। এই সময়েই তার হাতে আসে ‘বেগমজান’-এর অফার। আর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই ফিল্মে কবিরের রোলের জন্য নিজেকে যেন পুরোপুরি পাল্টে ফেলেছেন চাঙ্কি। যা দেখে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৃজিতও। তিনি বলেন, আমার ফিল্মে চাঙ্কিকে দেখলে আপনারা চিনতেই পারবেন না। এখানে এমন একটা চরিত্রে অভিনয় করেছেন চাঙ্কি যে নিজের লোভ মেটাতে এক্কেবারে দয়ামায়াহীন হয়ে যেতে পারেন।

শুধু কি অভিনয়! কবিরের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে নিজের লুকও চেঞ্জ করেছেন চাঙ্কি। অবশ্যই তা সৃজিতের অনুরোধে। বলিউডে আশিটিরও বেশি ফিল্ম রয়েছে তার ঝুলিতে। কোনো ফিল্মের জন্যই বোধহয় এতটা এক্সপেরিমেন্ট করেননি তিনি। নিজের লুক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বয়ং চাঙ্কি অবশ্য বেশ খোলামেলা। তিনি বলেন, এমনকী স্ত্রীও আমাকে চিনতে পারেননি। আমার পুরো ব্যক্তিত্বই পাল্টে গিয়েছে। প্রথমটায় একটু নিমরাজি ছিলাম বটে! তবে কবিরের লুকে নিজেকে দেখার পর আমি সত্যিই খুশি। আসলে এমন রোল তো আর রোজ হাতে আসে না।

চাঙ্কির এই কমিটমেন্টের বাহবা দিতে ছাড়েননি সৃজিতও। তিনি বলেন, অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার একটা তাগিদ ছিল চাঙ্কির ভেতরে। আর আমি সেই খিদেটাকেই কাজে লাগিয়েছি। সৃজিতের দাবি, দর্শকেরা চাঙ্কিকে চিনতেই পারবেন না!

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত