‘যৌনদাসী’ হিসেবে জন্য বিক্রির অপহরণ (ভিডিও)

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৪০

সাহস ডেস্ক

ব্রিটেনের মডেল ক্লো অ্যালিংয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ‘যৌনদাসী’ হিসেবে বিক্রির জন্য ইতালির মিলান শহর থেকে অ্যালিংকে অপহরণ করা হয়েছিল। ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে একটি গ্রুপ ব্রিটিশ এই মডেলকে অপহরণ করে ছয়দিন আটকে রাখে।

আইনজীবী ফ্রান্সেসকো পেসকি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ২০ বছর বয়সী ক্লো অ্যালিং বন্দি থাকা অবস্থায় কী আচরণ করেছেন, কী ভেবেছেন।

দুদিন আগেই ইতালির পুলিশ ব্রিটেনের এই মডেলকে উদ্ধার করে জানায় যে অপরাধীরা তাকে অনলাইনে নিলামে বিক্রির উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল।

ওই মডেল একটি ফটো শুটে অংশ নেয়ার জন্য মিলানে গিয়েছিলেন। মিলানের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়ার ২৬ দিন পর রবিবার নিজ বাড়িতে ফিরেছেন ক্লো অ্যালিং।

উদ্ধারের পর অ্যালিং বলেছেন তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন।

অ্যালিংকে উদ্ধারের পর ইতালির পুলিশ জানিয়েছিল, মিলানে নামার পরই দু’ব্যক্তি ঐ মহিলাকে আক্রমণ করে এবং নেশার ইনজেকশন দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে।

এরপর একটি ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে তাকে গাড়ির বুটে তোলা হয় এবং টুরিন শহরের কাছে এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশের তদন্ত বিভাগ বলছে, অপহরণকারীরা বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নারীদের অনলাইনে নিলামে তোলে। সাইটগুলিতে প্রতিটি নারীর ছবির সাথে তাদের বর্ণনা এবং প্রাথমিক মূল্য দেয়া ছিল। তবে ছবিতে দেয়া নারীদের সবাইকে একই ব্যক্তিরা অপহরণ করেছে কি না, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। 

কর্মকর্তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছে যে তারা ‘ব্ল্যাক ডেথ গ্রু ‘ নামে একটি অপরাধী চক্রের সদস্য যাদের মূল ব্যবসা হচ্ছে নারী পাচার।

আইনজীবী পেসকি জানাচ্ছেন যে তার মক্কলেক মধ্যপ্রাচ্যে যৌনকর্মের জন্য কারো কাছে বিক্রির পরিকল্পনা করছিল অপহরণকারীরা। অ্যালিং অপহরণকারীদের সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন কারণ তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল আশেপাশে অনেকে তাঁর গতিবিধি নজরে রাখছে। যদি পালানোর চেষ্টা করে বা কোনো চালাকি করে তাহলে তাকে মেরে ফেলার হবে।

‘তাই তিনি ভাবলেন অপহরণকারীদের সঙ্গে যাওয়াই হবে সবচেয়ে ভালো কাজ। অপহরণকারী এক ব্যক্তি মিস অ্যালিংকে বলেছিল যে সে তাঁকে মুক্ত করতে চায় তা যেভাবেই হোক’।

অ্যালিং ওই ঘটনাকে জীবনের ‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, প্রত্যেক মুহুর্তে তিনি তার জীবন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। আমি ইতালি ও যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ, তাদের কারণেই আমি নিরাপদে বেঁচে ফিরেছি।

এই ঘটনাটি নিয়ে ইতালি, পোল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত