চিরবিদায় সংগীতশিল্পী আব্দুল জব্বার

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১০:২১

সাহস ডেস্ক

চিরকালের জন্য শান্ত হয়ে গেল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী স্বাধীনতাযুদ্ধের কণ্ঠ সৈনিক আবদুল জব্বারের দরাজ কণ্ঠ। 

সালাম সালাম হাজার সালাম, জয় বাংলা বাংলার জয়, তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়ের মত অসংখ্য গানের স্রষ্টা চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

গুণী এই শিল্পীর ছেলে বাবু জব্বার জানান, আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। 

তাঁর মৃত্যুতে দেশীয় সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

শিল্পী আবদুল জব্বার বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৬২০ নম্বর কক্ষে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। চলতি বছরের ৩১ মে তিনি হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আবদুল জব্বার গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে সারা কলকাতার ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি সে সময়ে পাওয়া ১২ লাখ টাকা স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন।

১৯৩৮ সালে ৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মেছিলেন আবদুল জব্বার। ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। ১৯৬২ সালে চলচ্চিত্রে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ আসে তার কাছে। ১৯৬৪ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে নিয়মিত গাইতেন তিনি।

জীবদ্দশায় ছয় হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন আবদুল জব্বার। এর মধ্যে কালজয়ী হয়ে আছে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়’, ‘পীচঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি’ প্রভৃতি। 

কণ্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের প্রথম স্ত্রী হালিমা জব্বার একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার এক মেয়ে দুই ছেলে মিথুন জব্বার এবং বাবু জব্বার। তারাও কণ্ঠশিল্পী। দ্বিতীয় স্ত্রী শাহীন জব্বার ছিলেন গীতিকার। তাদের মেয়ে মুনমুন জব্বার নৃত্যশিল্পী। তার তৃতীয় স্ত্রী ডলি জব্বার বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত