রোহিঙ্গাদের নিয়ে কবির সুমনের গান

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:২৬

সাহস ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবতা। দেশটির সেনাবাহিনী অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর চালাচ্ছে গণহত্যা-গণধর্ষণ। তাদের ঘরবাড়ি দেওয়া হচ্ছে জ্বালিয়ে। প্রাণে বাঁচতে গত দেড় মাসে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সমুদ্র-নদী পাড়ি দিয়ে পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশের কক্সবাজারে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এমন নির্মম নির্যাতন নাড়া দিয়েছে বিশ্ব বিবেককে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে তারকাও এ 'জাতিগত নিধনের' বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এবার ভারতের কলকাতার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কবির সুমনও রোহিঙ্গাদের পক্ষে কণ্ঠ ছাড়লেন। বাধলেন গান।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে গানটি শেয়ার করেন তিনি। চলুন পড়ি কবির সুমনের সেই স্ট্যাটাস-  
'রোহিঙ্গা -
খারাপ রেকর্ডিং। ফ্যানের আওয়াজ + কম্প্রেশন এফেক্ট। নিরুপায়।

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক বন্ধু আমার কাছে এমন একটি গান চেয়েছিলেন তাই একটি গান তৈরি করে ঘরে রেকর্ড করলাম। মাইক্রোফোনে হাওয়ার আওয়াজ এসেছে। আমার শরীর ভাল নয়। গরমে রেকর্ড করা আর সম্ভব নয়। এই রচনা ও রেকর্ডিংয়ের ধ্বনিবৈশিষ্ট ও ধ্বনি-উৎকর্ষের চেয়ে রচনাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

একটি অনুরোধ - আমাকে যদি কেউ সত্যিই ভালবাসেন এই ধরণের গান আর করতে বলবেন না। খুব কষ্ট হয়। আমার জীবনের সেরা কাজ আমি এখন করে চলেছি- বাংলা ভাষায় বিভিন্ন রাগে বিলম্বিত ও মধ্য/দ্রুত লয়ে খেয়ালগান তৈরি। 

এটি ঐতিহাসিক কাজ যা আর কেউ এই পরিসরে, এই উৎকর্ষ বজায় রেখে, এই সংখ্যায় কোনোদিনই করেননি আধুনিক, সমকালীন বাংলা ভাষায়। আমি জানি এজন্য আমায় আমার জাতি সাধুবাদ দেবে না, বরং অন্য কিছু দেবে। তাতে আমার যায় আসে না। আমি বাঙালি জাতির জন্য কাজটি করছি না, বাংলা ভাষার জন্য করছি।


সালাম

বর্মীবাহিনী নেমেছে মাঠে
রোহিঙ্গা জানে কে গলা কাটে
শান্তিপদ্মে কী-ভীষণ হুম
রোহিঙ্গা জানে রাত্রি নিঝুম।

মিডিয়া-ছবিতে অস্ত্র হাতে
গেরুয়াধারীরা অনেক রাতে
রোহিঙ্গাদের নিধনে শান্তি
বর্মীবাহিনী নধরকান্তি।

হাজার বছর আরাকানে বাস
রোহিঙ্গাদের থ্যাঁতলানো লাশ
রোহিঙ্গা মেয়ে গর্ভে লাথি
শান্তির নামে ধর্ষণে মাতি।

এ হলো মানুষ তীর্থফেরা
সবার ওপরে সত্য এরা
কারা রোহিঙ্গা কী যায় আসে
বসছে শকুন শিশুর লাশে।

স্বাগত শকুন তোমারই যোগ্য
আমরা মানুষ পোকার ভোগ্য
উপড়নো চোখ তোমাকেই দেব
শুনলে এ-গান রোহিঙ্গা ভেবো।'

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত