দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫০

সাহস ডেস্ক

দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি (কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) উন্নতি হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের (মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুঞ্জিগঞ্জ, শরীয়তপুর) নিম্নাঞ্চলে উন্নতি অব্যাহত থাকবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলো-বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষা নদী বিপদসীমার যথাক্রমে ১০৩ সেন্টিমিটার ১৬ সেন্টিমিচার ৩০ সেন্টিমিটার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, অপরদিকে টুংগিখাল বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলোর পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘন্টায় হ্রাস পাবে।

বন্যার পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশের ধুবরী পয়েন্টে আগামী ৩৬ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা- পদ্মা নদীর পানি সমতলও আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে।

একই সঙ্গে মেঘনা অববাহিকার নদীসমূহের মধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারা পানি আগামী ২৪ ঘন্টায় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপারে বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে।

মেঘনা অববাহিকার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলোর পর্যবেক্ষণাধীন অধিকাংশ পয়েন্টে পানি সমতল কমতে শুরু করেছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে, অপরদিকে চিলমারী, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে হ্রাস অব্যাহত আছে। এছাড়া গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে, অপরদিকে মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে স্থিতিশীল রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত