চুয়াডাঙ্গায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ ইটভাটা

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৪৩

শামসুজ্জোহা পলাশ

চুয়াডাঙ্গায় ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা প্রায় শতাধিক ইটভাটা নতুন বছরের ইট তৈরির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ইট তৈরি এবং পোড়ানোর আগেই কিছু কিছু ইটভাটায় স্তুপ করা হচ্ছে খড়ি আর ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি। গাছ কেটে ফেলার কারণে একদিকে পরিবেশ যেমন পড়ছে হুমকির মুখে, তেমনি আবাদযোগ্য জমির টপ সয়েল কেটে ফেলায় ফসলি জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা শক্তি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইট একটি প্রয়োজনীয় বস্তু হলেও নিয়ম না মেনে ইট তৈরির কারণে কৃষিজমি যেমন হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি আবাদি জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা। অপর দিকে গাছ কেটে ফেলার কারণে হুমকির মুখে পড়ছে সামাজিক পরিবেশ।

জানা গেছে, চলতি বছর জেলাতে ইটভাটা রয়েছে ৮৭টি। এর মধ্যে লাইসেন্স প্রাপ্ত ইটভাটা হচ্ছে ২৬টি। আর ৬১টি ইটভাটা লাইসেন্স বিহীন। অধিকাংশ ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে আবাদযোগ্য জমির উপর। আর এসব ভাটাগুলোতে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে তৈরি হয় ইট। ফলে অনেক জমি পতিত থাকছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ “সবুজ চুয়াডাঙ্গা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্যে এক ঘণ্টায় সাড়ে ৭ লাখ বৃক্ষরোপন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। সে ক্ষেত্রে গাছ কেটে ইটের ভাটার জ্বালানি করা কতটা যোক্তিক? অপরদিকে গত ২২ জুলাই জেলা প্রশাসক জেলার ইটভাটা মালিকদের ডেকে ভাটা তৈরি এবং ইটপোড়ানো আইন কানুন সম্পর্কে ভাটা মালিকদের অবহিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব বলেন, খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান দ্বিতীয়। জেলার অধিকাংশ ভাটা জিগজ্যাগ হয়ে গেছে। অন্যান্য জেলার চাইতে চুয়াডাঙ্গা জেলার ভাটা মালিকরা আইনের প্রতি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধাশীল। পরিপূর্ণ বিধিবিধান মেনে ভাটা করতে গেলে দেশে একটিও ভাটা তৈরি হওয়ার কথা না।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত