দু্ই লাখ ৬৮ হাজার একর সরকারি বনভূমি বেদখল: বনমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০১৮, ১৮:৩২

সাহস ডেস্ক

দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৬ লাখ হেক্টর বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত ২ লাখ ৬৮ হাজার একর সরকারি বনভূমি বেদখলে চলে গেছে।’ 

আজ মঙ্গলবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা কিন্তু আমাদের ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ বনভূমি রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বহুদিন আগে থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি বনাঞ্চলের নিকটবর্তী জনসাধারণ  চাষাবাদ, বসতি স্থাপন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদি কারণে জবরদখল হয়ে আছে। কোনও কোনও স্থান পাকা ইমারত, শিল্পায়ন, পাকা সড়ক নির্মাণ, হাট বাজার স্থাপনের কারণে বনভূমি বেদখল হয়ে আছে। তবে বর্তমানে ব্যাপক প্রচার ও সরকারের তৎপরতার ফলে নতুন করে বনভূমি জবরদখলের কোনও সুযোগ নেই।’

মহিলা আসন-২৪-এর এমপি বেগম সানজিদা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানান, ‘আগামী ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বনভূমি ২৪ শতাংশে উন্নীত করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন জেগে ওঠা চর বনায়ন, দেশের উপকূলজুড়ে বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী নির্মাণ, সড়ক ও বাঁধের পাশে ও  রেল লাইনের পাশে বনায়ন সৃজন করা, সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আঙিনায় বনায়ন ও সব স্তরের জনগণকে নিজস্ব পতিত জমিতে বনায়নের জন্য উৎসাহিত করার কাজ চলমান রয়েছে।’

মহিলা আসন-৩৯ এর এমপি হাজেরা খাতুনের এক প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী জানান, ‘বন অধিদফতরের অধীনে মোট ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর মাধ্যমে ১৮ হাজার ৬ শত ৯৭৮ হেক্টর ব্লক বাগান, ২ হাজার ৭১৭ কি. মি. স্ট্রিপ বাগান, বিক্রয় ও বিতরণসহ অন্যান্য চারা রোপন করা হয়েছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ১৩ হাজারটি। 

তিনি জানান,  জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট রাজস্ব বাজেট থেকে ৩ হাজার ২ শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মেকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টিবোর্ড কর্তৃক ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৮ শত ৮৯ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার কোটি প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৫৬২ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৯টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নের প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি প্রকল্পের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে বর্তমানে এ ফান্ডে বরাদ্দযোগ্য অর্থের স্থিতি নেই।

জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল পরিচালনার জন্য আইনী বিধান অনুযায়ী ১৭ সদস্যের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং ট্রাস্টি বোর্ডকে সহায়তার জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি সহায়তা কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
সূত্র: বাসস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত