হ্যান্ডওয়াশে হাত ধোঁয়ায় কতটা নিরাপদ

কাজের জন্য আমাদের বেশিরভাগ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয়। বাইরে আমরা কাজের জন্য দুই হাতই ব্যবহার করি। এতে অনেক জীবাণু আক্রমণ করে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। এই অসুস্থতাকে দূরে রাখার জন্য হাত ধোঁয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকেই হাত ধোঁয়ার জন্য সাবান ব্যবহার করতে চান না বা সম্ভব হয় না। তখন হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার করেন। 

কিন্তু হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করা কতটা নিরাপদ তা জানেন কি?
হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারে জীবাণু ধ্বংস হয় ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে যার কারণে স্বাস্থ্যের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এবার জেনে নিন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে যেসব সমস্যাগুলো হয়

শুষ্ক ত্বক
হ্যান্ডওয়াশে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় তাতে আইসোপ্রোপাইল, ইথানল এবং এন-প্রোপানল থাকে। এগুলো ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। এরা ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে দূর করে দেয়, কোষকে পানিশূন্য করে এবং ডার্মাটাইটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ত্বকের বাহিরের সুরক্ষা স্তরকে নষ্ট করে।

হরমোনের কাজে বাধার সৃষ্টি
অনেক হ্যান্ডওয়াশে ট্রাইক্লোসান থাকে। এই উপাদানটি হরমোনের কাজে বাধার সৃষ্টি করে। সুপার বাগের বৃদ্ধিতেও এর সম্পর্ক বিদ্যমান। সুপার বাগ হচ্ছে এমন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস যা অ্যান্টিবায়োটিককে রেজিস্ট বা প্রতিহত করতে পারে।

ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি
অনেক হ্যান্ডওয়াশে রাসায়নিক সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়। প্রস্তুতকারিরা হ্যান্ডওয়াশের লেবেলে উল্লেখ করেন না যে এতে কি ধরণের সুগন্ধি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আপনি জানতেও পারছেন না যে কি ধরণের উপাদান আপনার ত্বকের সংস্পর্শে আসছে। অনেক সুগন্ধি উপাদানই ত্বকের জন্য যন্ত্রণাদায়ক হয় এবং অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়।

ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে
আমরা অনেকেই মনে করি যে, হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে। কিন্তু আসলে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। এক গবেষণায় জানা যায়, হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারের ফলে শিশুদের ইমিউনিটি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি সাইন্স ডেইলিতে প্রকাশিত হয়। শিশু অবস্থায় অতিরিক্ত পরিষ্কার পরিবেশ শিশুর ইমিউনিটিকে এমন মাত্রায় কমিয়ে দেয় যে তাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বক্ষণ যুদ্ধরত অবস্থায় থাকে, ফলে তাদের ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই শিশুরা বড় হলেও তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে এবং ইনফ্লামেটরি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত রকমের সংবেদনশীল হয় বলে বিভিন্ন ধরণের রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।