সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা ব্যস্ত ব্যক্তিগত চেম্বারে

প্রকাশ : ২০ মে ২০১৬, ১৭:১৭

এফ এম সুমন

পেকুয়া উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে চরম হুমকির মুখে পেকুয়া উপজেলার হতদরিদ্র দুই লক্ষাধিক জনগণ। সুষ্ঠ তদারকির অভাবে বর্তমান সময়ে এই হাসপাতালের ডাক্তাররা সরকারি অফিস সময়ে দায়িত্ব পালন না করে পেকুয়া সদরের চৌমুহনী এবং পেকুয়া বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসী কেন্দ্রীক প্রাইভেট চেম্বার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখতে ব্যস্ত সময় কাটান। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি ওষুধ সরবরাহ না করে ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আঁতাত করে টাকার বিনিময়ে ডাক্তাররা বিভিন্ন নিম্নমানের ঔষুধ দিচ্ছেন বলে রোগীদের অভিযোগ। এদিকে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে। ড্রাইভার থাকলেও সে বর্তমানে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছে না।

এদিকে গত বুধবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দীর্ঘ লাইন। কখন ডাক্তারের দেখা পাবে সেই অপেক্ষা করছে। ওয়ার্ডের ভর্তিকৃত রোগীরাও সকাল থেকে ডাক্তারের অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকারি সময়ে ডাক্তাররা বিভিন্ন প্রাইভেট চেম্বারে ব্যস্ত রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। রোগীদের দুর্ভোগের কথা কক্সবাজার সিভিল সার্জনকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়। 

সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগী জানান, তারা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে টিকেট নিয়ে বসে আছে। কিন্তু ১২টা পর্যন্ত কোন ডাক্তারের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত ঔষুধ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতালে রেজিষ্টার খাতায় তোলা নামে বেনামের রোগী দেখিয়ে সরকারি রাজস্ব হাতিয়ে দিচ্ছে এ হাসপাতালের কর্তাবাবুরা। তারপরে মাস শেষে বেতনও তুলছেন তারা। 

টিএইচও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মুজিবুর রহমান কোথায় জানতে চাইলে অফিসের পিয়ন জানায়, স্যার সরকারি কাজে বাইরে ব্যস্ত আছেন। যদিও টিএইচও ডা. পূণ্যবর্ধন বড়ুয়া অনুমতিবিহীন অনুপস্থিত (আন অথারাইজ্ড অ্যাবসেন্স) আছেন বলে জানান জেলা সিভিল সার্জনের পিএ।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনে পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত