আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০১৭, ১০:২২

সাহস ডেস্ক

‘আসুন বিষণ্নতা নিয়ে কথা বলি’ এই প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ৭ এপ্রিল বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে মানসিক রোগীকে অবজ্ঞা ও অবহেলা না করে বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এ কাজে সবার একত্রে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটির উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। অন্য জেলা ও উপজেলায়ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা সভা সেমিনার ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সকালে র‌্যালি বের করবে এবং আলোচনাসভার আয়োজন করবে।

বিকেলে বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বিষণ্নতার ওপর আলোচনা সভা। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক ডা. পুণম ক্ষেত্রপাল এক বার্তায় বলেন, এ অঞ্চলে ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিষণ্নতায় আক্রান্ত। চিকিৎসার অভাবে অনেকেই আত্মহত্যার দিকেও এগিয়ে যাচ্ছেন। বিষণ্নতার বিষয়ে পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সারা বিশ্বে বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটির বেশি। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এ রোগের ব্যাপকতা বেড়েছে ১৮ শতাংশ। বিষণ্নতার কারণে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ আত্মহত্যা। উন্নত দেশগুলোয় বিষণ্নতায় আক্রান্তদের ৫০ ভাগ মানুষ চিকিৎসা গ্রহণ করেন না। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ৮০ ভাগই বাস করেন নিন্ম ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। এ রোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেটের ন্যূনতম ৩ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয়ের পরামর্শ দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত