রাজাপুরে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:১৮

রহিম রেজা

চলমান শরৎ ঋতুর আশ্বিন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অসহ্য ভ্যাপসা গরম আর শেষ রাতে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। ঋতুর এ পরিবর্তনে ছন্দপতন প্রকৃতিতেও ঘটেছে। আর আবহাওয়ার হঠাৎ এ পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা, পেটের পীড়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎকরা। 

বর্তমানে ঝালকাঠির রাজাপুরের প্রত্যেক ঘরে ঘরেই এই সব রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু, কিশোর বৃদ্ধ সব শ্রেণির মানুষই রয়েছে। তবে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৩টি প্রাইভেট ক্লিনিকেই সর্দি, জ্বর গলাব্যথা, ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আক্রান্ত রোগীরা জানান, দিনের বেলায় গরম আর শেষ রাতে ঠান্ডা পড়ে। প্রত্যেক ঘরেই শিশু, বৃদ্ধসহ কেউ না কেউ সর্দিতে জ্বরে ভুগছেন। 

রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিএইচও ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়টা ব্যতিক্রমী। সাধারণত এ মৌসুমের মধ্য দিয়ে শীতের শুরু ও গরমের শেষ হয়ে থাকে। এ সময় দিনের বেলা গরম আবার রাতে ঠান্ডা অনুভূত হয়। শ্বাসকষ্ট, সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা, ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। গত এক সপ্তাহে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে দুই শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধ রোগী ডায়রিয়া ও পেটের পীড়ার চিকিৎসা  নিয়েছে। তাছাড়া শুষ্ক আবহাওয়া ও রাস্তায় প্রচুর ধুলাবালি থাকায় বাতাসে অ্যালার্জেন এর পরিমাণ অনকে বেড়ে যায়।

কাশি বা শ্বাসকষ্ট রোগের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ১ সপ্তাহের বেশি কাশি হলে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস বেশি অথবা শ্বাসকষ্ট এর যে কোনোটি হলে চিকিৎসকের পরার্মশ নিতে হবে। চর্ম রোগের ক্ষেত্রে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত