সেবা মিলছে না স্কুল হেলথ ক্লিনিকে
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৩:০৭

টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রহিতকে ঠান্ডাজনিত কারণে তার বাবা সকাল ১১টার দিকে নিয়ে গেছেন টাঙ্গাইল স্কুল হেলথ ক্লিনিকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন চিকিৎসক নেই। এর আগেও দু’দিন এসেছিলেন তারা। তখনও দেখা মেলেনি চিকিৎসকের।
কর্তব্যরত অফিস সহাকায়ক কর্মী প্রথমদিন জানিয়েছেন চিকিৎসক জরুরী কাজে বাইরে, দ্বিতীয় দিন বলেছেন আসতে দেরি হবে। আর সোমবার (১২ মার্চ) জানিয়েছেন সিভিল সার্জন অফিসে মিটিং-এ গেছেন। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের যেতে হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিকে।
রহিতের বাবা আব্দুর রহিম জানান, সরকারি এই ক্লিনিক, চিকিৎসক থেকে কি লাভ। জনগণের টাকায় বসে বসে বেতন নিচ্ছেন, অথচ কোন সেবাই তারা দিচ্ছেন না।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ছয় থেকে ১৫ বছর বয়সী স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্দেশে টাঙ্গাইলসহ দেশের ২৩টি জেলা শহরে স্কুল হেলথ ক্লিনিক রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে দু’জন চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমবিবিএস ডাক্তার), একজন ফার্মাসিস্ট, একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও দু’জন অফিস সহায়ক কর্মরত রয়েছেন। এদের দায়িত্ব সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ক্লিনিকে আগত স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে দু-একটি স্কুল পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে অবহিত করা।
কিন্তু সরেজমিন অন্ততঃ দশদিন টাঙ্গাইল স্কুল হেলথ ক্লিনিকে গিয়ে একদিনও কর্তব্যরত চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। দিনের বিভিন্ন সময় গিয়ে অধিকাংশ সময় দেখা গেছে কেউ আসেনি স্বাস্থ্য সেবা নিতে।
কর্তব্যরত ফার্মাসিস্ট রনজিত কুমার বণিক জানান, তাদের ক্লিনিকে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে এ ক্লিনিকের চিকিৎসকরা বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে যান।
টাঙ্গাইলের দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তাদের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে কোনদিন স্কুল হেলথ ক্লিনিক থেকে কেউ আসেননি।
বিবেকানন্দ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে কখনো স্কুল হেলথ ক্লিনিকের কোন চিকিৎসক আসেননি।
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম জানান, স্কুল হেলথ ক্লিনিকের কেউ আসেনি। কোন শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন হলে তাকে তারা ওই ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্চিতা মৈত্র জানান, তিনি নিয়মিতই অফিস করেন। তবে যখন সিভিল সার্জন অফিসে কোন মিটিং থাকে, স্কুল পরিদর্শনে যান সেই সময়টা তিনি থাকেন না।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান জানান, টাঙ্গাইল স্কুল হেলথ ক্লিনিকে কর্মরত দু’জন চিকিৎসকের মধ্যে একজন দীর্ঘ মেয়াদী ছুটিতে আছেন। বাকি একজনের নিয়মিত অফিসে থাকার কথা। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
সাহস২৪.কম/রিয়াজ
- ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে কালিগঞ্জে মৃত্যুদণ্ড
- ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দুদকে তলব
- ক্যারিবীয় বোর্ডের ওপর ব্রাভো-সামিদের ক্ষোভ
- টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
- জামিন পেলেন মডেল কাজী আসিফ
- স্কুবা ডাইভে বিশ্বরেকর্ড
- ১০০ বলের ফরম্যাটে বাংলাদেশ
- ফাহিম মাশরুরকে ৬ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে প্রেরণ
- সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক খরচ দিতে হবে কাতারকে
- ট্রেনের ছাদে লাফালাফি, দুই পথশিশুর মৃত্যু
- সালাহ’র দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে ফাইনালের পথে লিভারপুল
- সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
- কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
- সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক খরচ দিতে হবে কাতারকে
- মোহাম্মদপুরে স্কুলছাত্র সিফাত হত্যায় গ্রেফতার দুই
- ভলিব সেমিফাইনালে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ
- ক্যারিবীয় বোর্ডের ওপর ব্রাভো-সামিদের ক্ষোভ
- স্কুবা ডাইভে বিশ্বরেকর্ড
- গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু
- তিন দিনের সরকারি সফরে কাল অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী