ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ১২:০৯ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮, ১২:১৩

অনলাইন ডেস্ক

বর্ষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজধানীতে বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। গতমাসে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫৫ জন। আর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তা ১৯৫ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেব মতে, পহেলা জানুয়ারি থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত নগরীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫২৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগস্ট থেকে অক্টোবর এই তিন মাস ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। সে অনুযায়ী সামনের দিনগুলোতে এই রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। এ রোগ থেকে বাচঁতে নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার উপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বাড়ির আশপাশে, ফুলের টব, বেলকুনিতে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখার কথা বলেছেন তাঁরা।
 
নগরবাসীর অভিযোগ, কোনোভাবেই মশার হাত থেকে নিস্তার মিলছে না। এই প্রাণী দমনে সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগ নিলেও যাথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দিন দিন মশাবাহিত রোগ বাড়ছে।

খানাখন্দ, ফুলের টব, বাড়ির ছাদ কিংবা নর্দমায় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই জন্ম নেয় চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা। তাই বিষাক্ত এ মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে দিনের বেলায়ও মশারি ব্যবহার করছেন নগরবাসীদের অনেকেই।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেলেও সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর। তারা জানান, মশার ওষুধটাও ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে না। এক এলাকায় আসলে তো অন্য এলাকায় সিটি করপোরেশনের লোকদের দেখা যায় না।

এদিকে ডেঙ্গুর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি না থাকলেও ঈদের পর স্বাভাবিক নিয়মেই ওষুধ ছিটানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৫ এর প্রধান নির্বাহী এস এম অজিয়র রহমান।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার একশো ৬২ জন। ২০১৬ সালে তা ছিল ৬ হাজার চারশো ৮০ জন, এর মধ্যে মারা যান ১৪। আর ২০১৭ সালে আক্রান্ত হন ২ হাজার ১৮০ জন ও মারা যান ৮ জন। এছাড়া ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন ২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ০৬ জন, মার্চ ০৬ জন, এপ্রিল ১৭ জন, মে ৩৪জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫ জন।

চলতি মাসে ডেঙ্গুর প্রকোশ বাড়লেও পরিসংখ্যান বলছে গত ৪ বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু  জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম আছে।