মা তোমায় ভালোবাসি

প্রকাশ : ১৪ মে ২০১৭, ১৩:১৪

সাহস ডেস্ক

নতুন করে বলার মতো মায়ের কোনো গল্প নেই। স্বার্থের পৃথিবীতে মাকে খুব বেশি বোকা মনে হয়। তাদের ভালো যেন তারা বুঝতেই পারেন না। সন্তানের জন্য নিমিষেই ত্যাগ করেন ভোগের সব পথ। সন্তানকে বাঁচাতে কিংবা রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন এমন মায়ের দৃষ্টান্ত অযুত-নিযুত ঘুরে-ফিরে মায়ের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিচ্ছে। পৃথিবীতে একমাত্র স্বার্থহীন মানুষ মা, যিনি তার সন্তানকে স্বার্থহীনভাবে ভালোবাসেন। আবার এই মা-ই সবচেয়ে বড় স্বার্থপর কেননা সন্তানের স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি তার সকল আপন-স্বজন এমনকি গোটা পৃথিবীর সাথে স্বার্থনিজ কলহে জড়িয়ে যেতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না। সন্তানের স্বার্থ রক্ষার উর্ধ্বে তার কাছে কোন নৈতিকতা নাই, নাই দায়িত্বের বাধ্যবাধকতা। একজন মায়ের কাছে একদিকে তার সন্তান, অন্যদিকে গোটা পৃথিবী।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ মে (রবিবার) পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে মায়ের জন্য ভালবাসা স্বরূপ উপহার কিনে, কেক কেটে বা মায়ের পছন্দের খাবার খাইয়ে মাকে খুশি করার মধ্য দিয়ে আজ পালিত হবে ‘বিশ্ব মা দিবস-২০১৭’। যদিও মাকে ভালবাসা জানাতে কোনো দিনক্ষণ লাগে না; তবুও মায়ের জন্য ভালোবাসা জানানোর দিন আজ।

দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে। এ দিনে মায়েদের উপহার দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো বিশেষ ধরনের শাড়ি বাজারজাত করছে। বাংলাদেশে দিবসটি ঘটা করে পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। নাগরিক জীবনে দিনটি পালনের তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। গ্রামের চেয়ে শহরে এ আয়োজন থাকে বেশি। ঢাকায় ১৪ মে  (রবিবার) বিভিন্ন শপিংমলে মায়ের জন্য উপহার সামগ্রী কিনতে ভিড় করবেন সন্তানরা। ফোনে অনেকেই মাকে ভালোবাসা জানাবে। মায়ের জন্য শাড়ি, গহনা, ব্যবহার্য জিনিসপত্র কিনবে সন্তানরা। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতাও এ দিবসকে ঘিরে বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। 

আজাদ প্রোডাক্টস প্রতিবছরের ন্যায় রত্নগর্ভা মাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।

মা দিবস প্রথম উদযাপিত হয় গ্রিস ও রোমে। প্রাচীন গ্রীকরা তাদের দেবতা গ্রিককের মা রিয়ার সম্মানে উদযাপন করতো বসন্ত উৎসব। ১৬ শতকে যুক্তরাজ্যে মাদারিং সানডে নামে একটি দিবস পালিত হতো; যুক্তরাষ্ট্রে এ দিবসটি প্রচলন হয় শান্তিকামী জুলিয়া ওয়ার্ড হোর উদ্যোগে ১৮৭২ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্বীকৃতি ও প্রসার ঘটে ১৯১৪ সাল থেকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত