বাংলার কথা কই

রিং লিডার!!

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৬, ১১:১৪

অ-তে অজগর…. আ-তে আম…. ই-তে ইঁদুর……ঈ-তে ঈগল...

ধুমসে চলছে বাংলা ক্লাস, বৃটিশ রাজত্বের রাজধানী কলকাতায়। ১৯১৫ সালে দিল্লীতে স্থানান্তরের আগে পর্যন্ত কলকাতাই ছিল ব্রিটিশ রাজত্বের রাজধানী। বাংলা শিখছেন বৃটিশ-ভারতের সমর সচিব। খোদ বড়লাটের পরেই পদটার দায়িত্ব ও মর্যাদা। জনমানস চিনতে ভাষা জানা দরকার। তা ছাড়া বেঙ্গল প্রদেশটা তাঁর মাথাব্যথার কারণও বটে। সুজলাং সুফলাং শষ্যশ্যামলাং মলয়জ শীতলাং মায়াময় হলে কি হবে, এরকম অগ্নিগর্ভ প্রদেশ ভারতে পাঞ্জাব আর গুজরাট ছাড়া আর নেই। ভবিষ্যতের সূর্য সেন, আলীমুদ্দীন, ক্ষুদিরামের পায়ের আওয়াজ পাচ্ছেন তিনি, তাই এ চেষ্টা।

কপালগুণে মাস্টারও পেয়েছেন চমৎকার, বাঙালি এবং প্রচণ্ড বিপ্লবী-বিদ্বেষী। সব উচ্চপদের সাহেবরা তাই সেই বাঙালী মাষ্টারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিপ্লবী-দমনের গোপন শলাপরামর্শ তাঁর সাথেই করেন সমর সচিব। ধীরে ধীরে তেতে উঠছে বাংলা। অঘটন-ঘটনপটিয়সী জাত, কবে আবার কি করে ফেলে !

করে ফেললও, সারা দুনিয়া কাঁপিয়ে ২৩শে জুন ১৯১২ সালে। বোমার আঘাত আর কারো নয়, স্বয়ং বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ-এর ওপরে ! ইণ্টেলিজেন্স বিভাগের ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সমর সচিব। বোমা মেরেছে কোনো পালোয়ান নয়, কিশোরী মেয়ে লীলাবতী !! কে লীলাবতী, কিভাবে পালালো ? এত বড় একটা ঘটনা, কেন কেউ আগে থেকে ঘুণাক্ষরেও জানতে পারল না ? ইণ্টেলিজেন্স কি ঘোড়ার ঘাস কাটছে বসে বসে ?

প্রাণপাত করল ইণ্টেলিজেন্স। দীর্ঘ দু’বছর পর তদন্ত রিপোর্ট হাতে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে সমর সচিব ও বড়লাটের কাছে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। রিপোর্ট পড়ে চোখ কপালে উঠে গেল হার্ডিঞ্জ সাহেবের। লীলাবতী আদপে মেয়েই নয় ! শাড়ি পড়ে এসেছিল বসন্ত বিশ্বাস, বাংলার দামাল কিশোর। আর এ নাটকের রিং লিডার, নেপথ্যের নাটের গুরু ? সে আর কেউ নয়, সেই প্রবল বিপ্লবী-বিদ্বেষী ইংরেজের সুহৃদ বাংলার মাস্টার ! বোমা বর্ষণের পর সে আবার দেরাদুনের প্রকাশ্য জনসভায় অনলবর্ষী বক্তৃতায় বিপ্লবীর ফাঁসি দাবি করে কেঁদে রুমাল ভিজিয়ে ফেলেছিল ! “বোমা নিক্ষেপের ব্যাপারে ওই লোকটাই ছিল নাটের গুরু - দি রিং লিডার”!! (মাই ইণ্ডিয়ান ইয়ার্স, ১৯১০-১৯১৬ লর্ড হার্ডিঞ্জ)। ধর, ধর ব্যাটাকে। পুলিশ গোয়েন্দা সব একসাথে ছুটল তাঁর আস্তানায়।

গুরু হাওয়া হয়ে গেলেন চোখের পলকে। লাটে উঠে গেল লোক-দেখানো বাংলার ক্লাস আর বিপ্লবী-দমন পরামর্শ। শুরু হলো লুকোচুরির বিশ্বরেকর্ড। বিশাল ভারতবর্ষ। আজ বাংলা তো কাল পাঞ্জাব, আজ মাদ্রাজ তো কাল আসাম। অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় ভানুমতির খেল খেলে চলেছেন গুরু আর পেছনে ছুটছে ঘর্মাক্ত সেপাই-শান্ত্রীদল। নাম বদলের, বেশ বদলের, রূপ বদলের, ঠিকানা বদলের ইয়ত্তা নেই। কখনো টিকি বাঁধা উড়ে বাবুর্চি, কখনো বিষ্ঠার টিন মাথায় ব্যস্ত মেথর, কখনো বিয়ে পড়ানো পণ্ডিতজী, কখনো শব-মিছিলে আরামে শায়িত মৃতদেহ, কখনো রাগ-রাগিণীর আত্মহারা বেহালা বাদক সেই মাস্টার-অব-অল- ট্রেডস, জ্যাক অব্ নান!

বছরের পর বছর কেটে গেল কানামাছি ভোঁ ভোঁ চলছেই - অস্থির হয়ে উঠল বৃটিশ শাসন ব্যবস্থা।

কিন্তু এই জীবন মরণ লুকোচুরির মধ্যেই পালটা আঘাত হানলেন সেই আশ্চর্য্য কর্ম-দানব। ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। শত্রুকে আঘাত হানার এই তো সময় ! কাবুলে গড়ে উঠেছে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ, অজিত সিং, অম্বাপ্রসাদ আর বরকতউল্লার নেতৃত্বে প্রবাসী স্বাধীন ভারত সরকার (জার্মানি, তুরস্ক তাকে স্বীকৃতিও দিয়েছিল)। কাবুল থেকে থাইল্যাণ্ড পর্যন্ত লক্ষ বর্গমাইল জুড়ে আবার সিপাহী বিপ্লবের মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। পুরো ভারতবর্ষের আয়োজনে আছে পাঞ্জাবি কর্তার সিং, মারাঠি পিংলে, আর বাংলার এই রিং লিডার।

হলো না। কতিপয় মীর জাফর এখানো আছে, তখনো ছিল। মীরজাফরদের গোপন খবরে অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল মরণাস্ত্রে সজ্জিত সামরিক দানব, একাত্তরের বাংলাদেশের মতো। ধরা পড়ল, মারা পড়ল প্রায় সবাই। আর সেই রিং লিডার রাজবেশ পরে সোজা গিয়ে হাজির পাসপোর্ট অফিসে। “আমি রাজা পি. এন. ঠাকুর, নোবেল-লরিয়েট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মীয়। জাপান সম্রাটের আমন্ত্রণে কবি জাপান যাচ্ছেন তো, আমাকে তাঁর আগে যেতে হচ্ছে ওখানকার আয়োজন তদারক করতে, এমিসারী হিসেবে।”

“হ্যাঁ, হ্যাঁ, স্যার ট্যাগোর-এর জাপান যাবার কথা জানি আমরা। আপনি প্লিজ একটু বসুন, এই পাঁচ মিনিট।”

পনেরো মিনিটের মাথায় পাসপোর্ট। ২২শে জুন হারুকিমারু জাহাজের বারান্দা থেকে শেষবারের মতো দেখে নিলেন স্বদেশের মাটি। অস্ফুটস্বরে বললেন, “ওয়ান ফাইট মোর, দ্য লাস্ট অ্যাণ্ড দ্য বেস্ট”।

জাপানে পৌঁছানোর খবরটা চড় হয়ে চটাশ করে পড়ল বৃটিশের গালে, শুরু হলো অপমানিত সিংহের গর্জন। সাঁড়াশীর মতো চেপে ধরল জাপান সরকারকে – “আমাদের বিদ্রোহী ফিরিয়ে দাও, এক্ষুণি, এই মুহূর্তে!!” ওদিকে জাপানের সরকার-বিরোধী পার্টি জনগণকে বোঝাচ্ছে, দেশপ্রেমিক লোকটাকে খুন হবার জন্য বৃটিশের হাতে তুলে দেবে ভাই !

না ! প্রতিবাদের ঝড় তুলে ফেলল জনতা আর সংবাদপত্রগুলো, ও আমাদের অতিথি। জাপানি আতিথেয়তার শতাব্দী-প্রাচীন ঐতিহ্যে কলঙ্ক লাগতে দেব না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সদ্য বিজয়ী ইংল্যাণ্ড চাপ দিয়ে চলেছে লীগ অব্ নেশনস (জাতিসঙ্ঘের পূর্বসুরী)-এর মাধ্যমে, তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবার ক্ষমতা জাপান সরকারের নেই। দিনে দিনে ভেঙে পড়ল তার মেরুদণ্ড, বিদ্রোহীকে ফিরিয়ে দেবার প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল সংসদে। পাঠানোর দিনক্ষণও ধার্য্য হয়ে গেল। পাশবিক উল্লাসে ফাঁসির দড়ি পাকাতে শুরু করল বৃটিশ, থমকে গেল বহমান সময় - “বিশ্ব রহিল নিঃশ্বাস রুধি, নিভায়ে সূর্যতারা”।

দীর্ঘশ্বাসে বন্ধু সোমার দিকে তাকালেন বিরোধী দলের নেতা তোয়ামা। “লোকটাকে বুঝি আর বাঁচানো গেল না বৃটিশ হায়েনার হাত থেকে।”

তোমা যেন নিজের মনেই অস্ফুট স্বরে বললেন- “একটা শেষ উপায় আছে - মাত্র একটা।”

বাসায় ফিরে সোমা স্ত্রীকে বললেন, “মাত্র একটাই উপায় আছে।”

স্ত্রী তাকালেন কন্যার দিকে, “উপায় মাত্র একটাই আছে মা।”

নতস্বরে বললেন কন্যা তোশিকো, “আমি জানি। আমি……আমি রাজি আছি।”

ব্যস্ !! দূর-দ্বীপবাসিনীর এক মধুর সম্মতিতে ভারতবর্ষের ভবিষ্যত ছুটল তার অনির্ধারিত পথে, নির্ধারিত হয়ে গেল নিয়তি। বিশাল একটা ধন্য, ধন্য তোশিকো। ভবিষ্যতের আজাদ হিন্দ ফৌজের গর্বিত পদভারে শিউরে ওঠার জন্য তৈরি হয়ে গেল ইষ্ফল-বার্মা, মণিপুর, কোহিমা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যাণ্ড। ব্যস্ত হয়ে পড়ল নেতাজীর গ্রহ-নক্ষত্র। মহাকালের ডাক এসেছে ঐ, মাভৈঃ! এদিকে বিয়ের উৎসব উল্লাসে ফেটে পড়ল সমস্ত জাপান। সংবিধান অনুযায়ী ও এখন জাপানের নাগরিক – ও এখন আমাদের জামাই ! দেখি, কোন্ শালা গায়ে হাত দেয় !

সংবিধানের সামনে লেজ গুটিয়ে নিল জাপান সরকার। উদ্যত কালফণা গুটিয়ে নিল বৃটিশ, ক্রোধে ক্ষোভে হাত কামড়াতে লাগল। বড়লাটের গায়ে হাত তোলা লোক, এভাবে পার পেয়ে যাবে !রিং লিডার!!

ধনী দেশ, বড়লোক শ্বশুর, পারিবারিক মাধুর্য্যের হাতছানি। তবু, মনের মধ্যে কোন্ রাতের পাখি গায় একাকী সঙ্গীবিহীন অন্ধকারে! স্মৃতির সৈকতে বার বার এসে আছড়ে পড়ে বহু পুরোনো একটা ঢেউ। সারি সারি মুখ, বেশির ভাগই খুন হয়ে গেছে বৃটিশের হাতে। অগণিত সেই মৃতদেহ কি শুধু ইতিহাসের ডেসক্রিপশন হয়েই থাকবে ? মহামুক্তির প্রেসক্রিপশন হবে না কখনো ! কত লক্ষ মুক্তি-পাগল মানুষ দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে গেছে শুধু দেশটিকে স্বাধীন করবার চেষ্টায়। সে চেষ্টা আর কি হবে এই এতদূরে, এই বয়সে ! শুরু করেছিলেন কত বছর আগে বাংলার সেই দামাল কিশোর। আজ পেরিয়ে গেছে মাঝ বয়স। তবু উঠে দাঁড়ালেন, আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দিলেন আহ্বান- এসো ভাই, আর একবার চেষ্টা করে দেখি।

চমকে ফিরে তাকাল বার্মা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরের লক্ষ লক্ষ ভারতীয়। কে ! কে কথা বলছে ! আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে কার উদাত্ত আহ্বান, এসো ভাই, আর একবার চেষ্টা করে দেখি! প্রথম বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে দু’দুটো সিপাহী বিপ্লবও। কিন্তু তারা সাফল্যের ভিত্তি গড়ে গেছে নিজেদের হাড়ে গড়া ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে।এসো ভাই, একবার চেষ্টা করি।

এক থেকে দুই, দুই থেকে চার। অবাক বিস্ময়ে সারা পৃথিবী দেখল, ধীরে ধীরে প্রাগৈতিহাসিক দানবের মতো লক্ষ লক্ষ বুকে জেগে উঠছে শতাব্দীর ক্ষুধিত দেশপ্রেম। বন্যার মতো এগিয়ে এল মানুষ, জাপান থেকে বার্মা পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ। ত্যাগের পর ত্যাগ, সারা দূরপ্রাচ্য জুড়ে গঠিত হয়ে গেল সেনাবাহিনী ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগ। কেন্দ্র তার টোকিও, গুরু তার কর্ণধার। বিরাট সেনাবাহিনীকে গুছিয়ে তুলছেন মোহন সিং, মেজর শাহনেওয়াজ, মেজর ধীলন।

ওদিকে সুদূর বার্লিন থেকে ভেসে আসছে মহাকালের বরাভয়- “আমি সুভাষ বলছি। মনে রেখো, পরাধীনতার চেয়ে বড় অভিশাপ আর নেই...।” দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তাল অগ্নি-তরঙ্গের দুই প্রান্তে দুই বাঙালি কর্ণধার নিজেদের মনপবনের নাওটাকে কিনারায় ভেড়াবার জন্য ব্যাকুল। যুদ্ধ করে ভারত স্বাধীন করার জন্য নেতাজী ইউরোপে গঠন করেছেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। এদিকে জাপান থেকে দূরপ্রাচ্যে রিং লিডার একই লক্ষ্যে গঠন করেছেন ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগ।

গল্প নয়। বিদেশের মাটিতে তোমার আমার ইতিহাস।

সুদূর ইউরোপের চেয়ে দূরপ্রাচ্য থেকে আক্রমণটাই বেশি সুবিধেজনক। তাছাড়া সমগ্র এশিয়ার একমাত্র স্বাধীন দেশ জাপান। জেনারেল তোজো সরকার গঠন করে প্রথম থেকেই বলছেন, “এশিয়া ফর এশিয়ানস, গো হোম হোয়াইটস!” তাঁর কাছে দাবি গেল - “আমার বয়স হয়েছে। সুভাষকে এনে দাও। তাঁর অধীনে শেষ কটা দিন কাজ করতে চাই।” ওদিকে বার্লিনেও হিটলারের কাছে নেতাজীর দাবী “আমাকে জাপান পাঠাও। তার অধীনে সেপাই হলে গর্ববোধ করব আমি সুভাষচন্দ্র বোস।” (হায়! আমাদের আজকের নেতারা!) পৃথিবীর দু’ধারে দুটো মত্ত বাঙালী আবেগ পরস্পরকে আলিঙ্গন করার তাগিদে ফুলে ফুলে উঠছে। কিন্তু ততদিনে রাশিয়া আক্রমণ করে হিটলারের পরাজয়ের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। তবু, হিজ এক্সেলেন্সি চন্দ্র বোসের অনুরোধের একটা দাম আছে। জোগাড় হলো সাবমেরিন। মেজর আবিদ হাসানকে নিয়ে তিনমাসের সাবমেরিনে জাপান।

শতাব্দীর সাথে শতাব্দীর দেখা হলো টোকিওতে। দুই বাঙালী হিমালয়, স্বাধীনতার দুই অতন্দ্র প্রহরী। একজন নবীন, একজন প্রবীণ। নবীন সুভাষের হাতে সমস্ত রাজনৈতিক-সামরিক দায়িত্ব তুলে দিয়ে তৃপ্তির ছুটি নিলেন অর্ধশতাব্দীর কর্মচঞ্চল মহাবিদ্রোহী নাটের গুরু। তারপর নিশ্চিন্তে চোখ বুঁজলেন। শ্রদ্ধাবনত জাপান সম্রাট পাঠিয়ে দিলেন রাজশকট সে মরদেহ বইবার জন্য। জাপানের ইতিহাসে রাজপরিবারের বাইরে ওই একবারই ব্যবহার হলো সেটা। ইউরোপে গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজ সুভাষ ডিজলভ করেছেন আগেই, সেই একই আজাদ হিন্দ ফৌজ নাম নিয়ে স্বাধীনতার দিকে পা বাড়াল ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগ।

তাঁর নাম স্বাধীনতা।

তাঁর নাম দেশপ্রেম।

জাতি-ধর্মের বিভেদের বহু ঊর্দ্ধে মহামুক্ত মহানন্দ বিশাল মহাপুরুষ তাঁর নাম রাসবিহারী বসু ॥

প্রধান সূত্র- আমি সুভাষ বলছি - শৈলেশ দে.
লেখক: সদস্য – ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস উপদেষ্টা বোর্ড সাধারণ সম্পাদক- মুসলিমস ফেসিং টুমরো- ক্যানাড

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত