লিঙ্গ পরিচয় নতুন রূপ ধারণ করছে

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:৪৪

সাহস ডেস্ক

নারী এবং পুরুষ থেকে বেরিয়ে লিঙ্গ পরিচয় এখন নতুন রূপ ধারণ করছে। ফেসবুক প্রোফাইলে লিঙ্গ পরিচয়ের ক্ষেত্রে মেল, ফিমেল, ট্রান্সজেন্ডার, সিসজেন্ডার, জেন্ডার ননকনফর্মিং, জেন্ডারকুইয়ার, অ্যাজেন্ডারসহ মোট ৫০টি পরিভাষা যুক্ত করা হয়েছে।

পাশাপাশি বিজ্ঞানীরাও লিঙ্গ পরিচয়ের জৈবিক বুঝ সংক্রান্ত নতুন নতুন জটিলতা উদঘাটন করে চলেছেন।
জীববিজ্ঞানে বলা হয়েছে সেক্স ক্রোমোজম কোনো মানবশিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করে। এক্সএক্স ক্রোমোজম নিয়ে জন্মানো শিশু হলো মেয়ে। আর এক্সওয়াই মানে হলো ছেলে। কিন্তু অনেক সময় শুধু এক্সএক্স এবং এক্সওয়াই পুরো গল্প বলে না।

আমরা জানি লিঙ্গীয় বৈশিষ্ট্যের যে নানা উপাদানকে আমরা 'পুরুষ' ও 'নারী' বলে বিবেচনা করি সেগুলো সব সময় পরিচ্ছন্নভাবে জোট বাঁধে না। একদিকে এক্সএক্স- ডিম্বাশয়, নারী জননাঙ্গ, এস্ট্রোজেন, নারী লিঙ্গ পরিচয় এবং নারী সুলভ আচরণ। অন্যদিকে, এক্সওয়াই- অণ্ডকোষ, পুরুষাঙ্গ, টেস্টোস্টেরন, পুরুষ লিঙ্গ পরিচয় এবং পুরষালি ব্যবহার। কিন্তু এক্সএক্স ক্রোমোজমধারী হওয়া সত্ত্বেও দৈহিক গঠনতন্ত্র, শারীরবৃত্তিক এবং মনোস্তাত্বিকভাবে প্রায় পুরোপুরি পুরুষ হওয়া সম্ভব। আবার এক্সওয়াই ক্রোমোজমধারী হওয়া সত্ত্বেও একইভাবে প্রায় পুরোপুরি নারী হওয়া সম্ভব।

ডিম্বাশয়ে প্রতিটি ভ্রুণই নারী-পুরুষ উভয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। যা ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে নারী বা পুরুষ হিসেবে রূপ ধারণ করে।

লিঙ্গ ভিন্নতা সূচিত হয় মূলত ওয়াই ক্রোমোজোমের একটি জিনের মাধ্যমে। এর নাম এসআরওয়াই জিন। এই জিন নারী-পুরুষ উভয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা ভ্রুণে শুক্রাশয় সৃষ্টি করে। আর সেই শুক্রাশয় থেকে টেস্টোস্টেরন এবং অন্যান্য পুরষালি হরমোন নিঃসৃত হয়। সামষ্টিকভাবে এগুলোকে বলা হয় এন্ড্রোজেন। এরপর ভ্রুণে একটি প্রস্টেট, অণ্ডকোষ এবং পুরুষাঙ্গ সৃষ্টি হয়।

এসআরওয়াই জিন ছাড়া আদি ভ্রুণটি ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ডিম্বাশয়ে রুপ নেয়। যা থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। আর ভ্রুণটিতে নারীর শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো সৃষ্টি হয়- জরায়ু, নারী জননাঙ্গ এবং ভগাঙ্কুর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত