ফ্যাশনেবল ব্যাগের খোঁজখবর

বর্তমানে ফ্যাশনের অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ। পছন্দমতো কম ওজনের সঠিক আকারের ব্যাগ কেনার জন্য যাওয়া যেতে পারে রাজধানীর নিউমার্কেট। এখানকার তৃতীয় গেইট সংলগ্ন প্রায় ৩৫টি দোকানে বিভিন্ন রকমের ব্যাগ বিক্রি হয়।

বিভিন্ন নামের ব্যাগের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও স্যামসোনাইটের মাঝারি আকারের হ্যাভাস্যাকগুলোর চাহিদা বেশি। দাম ৪ হাজার থেকে শুরু করে ৮৪ হাজার পর্যন্ত। বিভিন্ন রং ও আকারের এইসব ব্যাগে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস রাখার জন্য অনেক ছোট পকেট থাকে।

এছাড়াও ম্যাক্স এবং পোলো ব্যাগের চাহিদাও রয়েছে। দেশি ও চায়না হ্যাভারস্যাক ব্যাগের দাম ১২শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা। এই ব্যাগগুলো ১৮, ২০, ২২, ২৪ ও ২৬ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। দাম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি আকারের বিভিন্ন চায়না ব্র্যান্ডের ব্যাগের দাম ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। ২ ও ৪ চাকার এসব ব্যাগে বেশি জিনিস নিয়ে দূরে ভ্রমণ করতে সুবিধা।

ঝোলার মতো দেখতে ডাফল ও রোলিং ব্যাগের আকার ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এগুলো কাঁধ বা হাতে ঝুলিয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত। দেশি এবং চায়নার তৈরি ব্যাগগুলোর দাম ৫শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা।

নিউমার্কেটর প্রতিটি ব্যাগের দোকানেই আছে বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ। ৮ থেকে ১২ পকেট যুক্ত এইসব ব্যাগের দাম ৮শ’ থকে ১ হাজার টাকা। ৫ থেকে ৭ পকেটযুক্ত ব্যাগের দাম ৬৫০ থকে ৭৫০ টাকা।

নিউমার্কেটে মেয়েদের অনেক ধরনের ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া যায়। এই সব ব্যাগ রং ও আকার আকৃতিতে বৈচিত্রময়। সাধারণত থাইল্যান্ড ও চায়না ব্যাগই বেশি চলে। দাম সাড়ে ৬শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা।

আজকাল অফিসগামী, চাকরিজীবি বা ছাত্রছাত্রী সবার জন্যই ল্যাপটপ খুব প্রয়োজনীয়। তাই ল্যাপটপব্যাগ এখন অনেকের জীবনেই নিত্য সঙ্গী।এই ধরনের ব্যাগ কিনতে গেলে কিছু বৈশিষ্টের দিকে খেয়াল করা দরকার। ল্যাপটপ ব্যাগ এমন হওয়া দরকার যেন এতে কয়েকটি চেম্বার থাকে। যেখানে চার্জার, কর্ড রাখা যায়। এর সঙ্গে দুই একটি বই বা ফাইল রাখার জন্য জায়গা থাকলে ল্যাপটপ ব্যাগ কর্মক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে সুবিধা হয়।

যেহেতু ল্যাপটপ ব্যাগ দীর্ঘদিন ব্যবহার করার জন্য কেনা হয় সে কারণে রংয়ের দিকটাও লক্ষ করা দরকার।

ল্যাপটপ ব্যাগ নিউমার্কেট, আইডিবি, গুলশান-১ এর বিভিন্ন মার্কেটে পাওয়া যায়। দাম ১৫শ’ টাকা থেকে শুরু। সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকার ল্যাপটপ ব্যাগও রয়েছে।