ছেলেদের দাড়ি এখন মেয়েদের আকর্ষণ

পৃথিবীতে বিখ্যাত যে ব্যক্তিরা নিজ কর্মগুণে খ্যাতিমান, তাদের অনেকেরই মুখে দাড়ি ছিল। অনেকেই আবার দাড়িহীন। তবে যে খ্যাতিমানরা দাড়ি রাখতেন বা রাখেন এখনও- তারা ফ্যাশন করার জন্যে দাড়ি রাখতেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে কালের পরিক্রমায় দীর্ঘদিন আগে থেকেই দাড়ি রাখা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এ প্রজন্মও পিছিয়ে নেই। দাড়ির বর্তমান ফ্যাশনের হাল হকিকত নিয়ে আজকের এই ফিচার।

আর তাই কদিন থেকে ভাবছেন দাড়ি রাখবেন। সাত-পাঁচ না ভেবে দাড়ি রেখেই দিলেন। কিন্তু দাড়ি রেখেই তো আর কাজ শেষ হয়ে যায় না। চুলের যেমন যত্ন নিতে হয়, তেমনি দাড়িরও যত্ন নিতে হয়। নইলে দেখবেন এই রুক্ষ, বিবর্ণ আর ময়লা দাড়ি নিয়ে আপনার বিপত্তির শেষ থাকবে না। জেনে নিন দাড়ির যত্ন নেবার ছোট্ট কিছু নিয়ম। কারণ যেটাই হোক, আপনি যদি দাড়িটাকে বাড়তে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে দাড়ির যত্ন নেবার এই টুকিটাকিগুলো জেনে রাখা দরকার।

চুলকানি সহ্য করুন। দাড়ি গজানোর প্রথমদিকে মুখ খুব চুলকাবে। কিন্তু দাড়ি গজানোর জন্য এটুকু আপনাকে সহ্য করে নিতেই হবে।

দাড়ি গজানোর জন্য বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। দাড়ির দৈর্ঘ্য কমপক্ষে এক ইঞ্চি হবার আগ পর্যন্ত এটাকে ছাঁটবেন না।

আপনি যদি দেখেন শেভিং বন্ধ করার পর ২-৩ মাস হয়ে গেছে অথচ এখনও আপনার ঠিকমতো দাড়ি গজাচ্ছে না, তাহলে হাল ছেড়ে দেওয়াই ভালো। সবারই ভালোভাবে দাড়ি গজাবে না, এটাই স্বাভাবিক। ক্লিন শেভ করে ফেলুন।

দাড়ি ছাঁটুন সঠিক উপায়ে। সেলুনে গিয়ে করতে পারেন। সাহস থাকলে নিজেও ছাঁটতে পারেন, তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরী। তবে আপনার দাড়ি যতো বড় বা যতো ছোটই হোক না কেন, প্রতি দুই মাসে একবার ছাঁটা ভালো।

দাড়ি পরিষ্কার রাখুন। তারমানে এই নয় যে ঘাম পরিষ্কার করছেন যে সাবান দিয়ে সেটাই ঘষে নেবেন দাড়িতে। চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করুন আপনার দাড়িতে। শুধু তাই না, কন্ডিশনারও দিতে পারেন।

দাড়িতে তেল দিন। শুনে কেমন শুনা গেলও। কিন্তু পশ্চিমা দেশে দাড়িকে স্টাইলিশ এবং সুস্থ রাখতে অনেকেই বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত ‘বিয়ার্ড অয়েল’ ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিয়ার্ড অয়েল দেখতে পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে নাও পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারে দারুণ সুগন্ধি একটা বিয়ার্ড অয়েল। আমন্ড অয়েল বা নারিকেল তেলও দিতে পারেন। স্টাইলিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন জেল এবং ওয়াক্স। আর হ্যাঁ, দাড়ি নিয়মিত আঁচড়ে নিতেও ভুলবেন না।

দাড়িকে সুস্থ রাখুন খাবারের মাধ্যমে। এমন কোনো খাবার নেই যেটা দাড়ির জন্য বিশেষভাবে ভালো। তবে ব্যালান্সড ডায়েট সবক্ষেত্রেই ভালো। আর চুলের জন্য যেসব খাবার ভালো সেগুলোও খেতে পারেন। খাবার সময়ে থাকুন সাবধান। খাওয়া শেষ হবার পর দাড়ি থেকে ভালো করে মুছে নিন খাবারের গুঁড়ো এবং উচ্ছিষ্ট।