১দিনে দেড় কেজি ওজন কমানোর সহজ ৫ উপায়!

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০১৭, ১৩:২৯ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৫৬

অনলাইন ডেস্ক

সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাই সারাবিশ্বে ওজন কমানো নিয়ে এত সব আয়োজন। এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা স্থূলতা কিংবা শরীরে মেদ জমার সমস্যায় ভুগছেন, এবং খুব দ্রুত রোগা হতে চান। পুষ্টিবিদ ক্রিস্টিনা এমন মানুষদের জন্য  ৬টি কাজের তালিকা দিয়েছেন।

ঠিকঠাকভাবে কাজগুলো করতে পারলে ১দিনেই দেড় কেজি পরিমাণ ওজন কমানো সম্ভব। যে দিনটি আপনি ওজন কমানোর জন্য নির্বাচন করবেন, সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের ওজন নিন। তারপর শুরু করুন আপনার ওয়েটলস রুটিন। ২৪ঘণ্টা পরে আবার ওজন নিয়ে দেখুন, প্রায় দেড় কেজির মতো ওজন কমে গেছে।

তাহলে ভিডিও হতে জেনে নিন কী কী করতে হবে এই একদিনে,দেড় কেজি ওজন কমানোর জন্য …

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন:
মেদ কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে পানি। পানি শরীরে জমে থাকা টক্সিন এবং শর্করাকে শরীর থেকে বার করে দিতে সক্ষম। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের এই সমস্ত ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে শুধু যে শরীরকে সুস্থ মনে হয় তা-ই নয়, পাশাপাশি মেদও কমে।

গ্রিনটি পান করুন -

কালো চা বা দুধচা বাদ দিন, শুধু মাত্র গ্রিনটি পান করুন আগামী ২৪ঘন্টা। এতে পাচন তন্ত্রে জমে থাকা ক্ষতিকর খাদ্য গুণ শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। এটা শরীরকে মেদমুক্ত করার প্রথমধাপ। তবে মনে রাখবেন, কফি খাওয়া বারণ। কালো চা এবং কফিতে ক্যাফিন থাকে। অম্লমিশ্রিত ক্যাফিন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

প্রচুর পরিমাণে শশা খান 

শশা এমন একটি সবজি যা শরীরকে অ্যালকালাইন-মুক্ত হতে সাহায্য করে।পাশাপাশি শশা খেলে অল্পেই পেট ভরে যায়। তার ফলে খাবার পরিমাণ আপনা থেকেই কমে আসে।

শাক-সবজি এবং ফল খান সবজি এবং ফল-এপ্রোটিনের পরিমাণ সাধারণভাবে কম থাকে।আর প্রোটিন শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারণ।বিনসজাতীয় সবজিতেও অবশ্য প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।  সেই কারণে বিনস পরিহার করুন। অল্প প্রোটিনযুক্ত শাক-সবজির উপর ভরসা করুন।

প্রচুর ঘাম ঝরান 

বিনা পরিশ্রমে দ্রুত মেদ কমানো অসম্ভব। ফলে শারীরিক পরিশ্রম করতে ইহবে। দৌড়নো, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার মতো কার্ডিও ভ্যাস্কিউলার ব্যায়াম করুন। অথবা এমন কাজ করুন, যাতে হাঁপ ধরে এবং প্রচুর ঘাম নির্গত হয়। এতে শরীরে জমে থাকা মেদ গলে যাবে।

খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন 

কী খাবেন তাতো জানলেন। পাশাপাশি কী কী খাবেন না, সেদিকেও আপনাকে নজর রাখতে হবে। দুধ, মিষ্টি, অ্যালকোহলও ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য একেবারে বর্জন করুন। রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত তিন ঘন্টা আগে খাবেন, এতে আপনার ঘুমতে যাবার আগেই খাবার ঠিক মত হজম হবে আর আপনার শরীরে ফ্যাট জমবে না। সবশেষে  রাতে অন্তত ৭ হতে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।

পরের দিন সকালে আবারও জেনে নিন, নিজের তফাতটা নিজের চোখেই দেখে নিন। আর দেখেই অবাক হয়ে যাবেন, আপনার ওজন কমে গিয়েছে।