প্রকৃতপক্ষে তারা যৌন বিকারগ্রস্থ
প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৬, ১৯:৩৫
২০১৬ বর্ষবরণে আরবের মুসলমানরা শতাধিক জার্মান নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বিচারকার্য এখনও চলছে।
২০০৫ সালে সর্বপ্রথম আরবে একটি অসুস্থ বিকৃত খেলার প্রচলন হয়। খেলাটি এমন যে, সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পরা। অর্থাৎ, একটি বৃত্ত তৈরি করে নারীদের সেই বৃত্তের মধ্যে এনে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে স্পর্শ করা। যেমনটি ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রমনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘটেছিল। মূলত, এমন অসুস্থ খেলা যৌন বিকৃত ধর্ষকের কাছেই জনপ্রিয়। যারা নারীদের পণ্য ও স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী তারা বলে, নারী বাইরে গেলে এমন তো হবেই।
ঠিক দুই সপ্তাহ আগে জার্মানির বার্লিনে স্ট্রিট ফেস্টিভ্যালে দুইজন ১৭-১৮ বছর বয়সী মেয়েকে ১০ জন তুরস্কের যৌন বিকারগ্রস্থ পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে যৌন নিপীড়ন চালায়। এদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
আবারও গত শনিবার রাতে জার্মানিতে বড় আকারে যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটেছে। অস্বাভাবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট শহরে। মিউজিক্যাল ফেস্টিভ্যালে চলাকালে একাধিক নারীর উপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ অবস্থায় উপনীত হয় যে পুলিশ মিউজিক্যাল ফেস্টিভ্যালের চারিদিক ঘেরাও করে রাখে।
বাঙলাদেশের কনসার্ট আর জার্মানির কনসার্টের নিরাপত্তা বেষ্টনী এক নয়। বাঙলাদেশে সব সময় চিন্তা করতে হয় কনসার্টে যাওয়া ঠিক হবে কী না! কেউ আবার কিছু করে বসবে কী না! নারীদের জন্য কনসার্ট দুর্বিষহ। জার্মানিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে কনসার্টে ধাক্কাধাক্কি হয় না। হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত থাকলেও কারো সাথে কারো শরীরের স্পর্শ হয় না। কারো শরীরে হাত দেয়া অভদ্রতা। এগুলো এখানে চিন্তাই করা যায় না। অর্থাৎ নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা কোন স্থান নেই। জার্মানরা কনসার্টে বিয়ার পান করে। আনন্দফুর্তি সবই করে। কিন্তু আনন্দ বলতে নারীর শরীরে স্পর্শ করতে হবে এমন চিন্তা যে বিকৃত ও অসুস্থ তা তারা জানে। বাংলাদেশে বিয়ার পান না করেও অনেকেই মাতাল। প্রকৃতপক্ষে তারা যৌন বিকারগ্রস্থ। তাদের আনন্দ নারীর শরীরে, বিকৃত চিন্তাধারার, বিকৃত যৌন নিপীড়নে তৃপ্তিবোধ করে।
এই মিউজিক্যাল ফেস্টিভ্যালে যৌন নিপীড়নের নারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং সাথে সাথেই তারা তিনজন যৌন বিকারগ্রস্থকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। যৌন বিকারগ্রস্থ তিনজন পাকিস্তানের নাগরিক। এই ঘটনায় মুসলমানদের উপর সকলের ক্ষিপ্ত হওয়া স্বাভাবিক। প্রতিটি ঘটনাই মুসলমানপ্রধান দেশের নাগরিকেরা ঘটায়। কিন্তু কেনো?
নারীর অনুমতি ব্যতীত শরীরে স্পর্শ করার মধ্যে কি আনন্দ খুঁজে পায়? নারীর শরীর কেনো খেলাসামগ্রী হবে?
অনন্য আজাদ এর ফেসবুক থেকে