পাখি আর পরিবেশের জন্য গাছ লাগান: প্রিয়তী

প্রকাশ : ০৪ মে ২০১৮, ১১:০৭

বাংলাদেশের বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করছি !!!

আমি জানতে পেরেছি, ত্রিশ লক্ষ শহীদদের স্মরণে বন বিভাগ ৩০ লক্ষ গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নিয়েছেন, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু আমি আবেদন জানাই যে, এই ত্রিশ লক্ষ গাছের চারা যেন ফলের গাছ হয়। এতে দেশ পুষ্টি, কাঠ, অক্সিজেন সব কিছুরই যোগান ঠিক থাকবে ও পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। পাখিরাও যেমন খাদ্য পাবে এবং এতে বিদেশী ফলের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং কাঠও পাওয়া যাবে।

অন্য দিকে মেহগনি, ইউক্যালিপটাস, শিশুকাঠ, রেইন্ট্রি, আকাশিয়া এই পাঁচটি গাছ দেশের মাটি নষ্ট করে ফেলছে। পাখিরা খাদ্য পাচ্ছে না। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

১. ইউক্যালিপ্টাসঃ কারণ অতিমাত্রায় পানি শোষনকারী, মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে, নিম্নমানের কাঠ, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। 
২. রেইনট্রিঃ কারণ এই আগ্রাসী গাছ অন্য গাছকে বাড়তে দেয় না, ঝরা পাতা ফসল ও মাছের জন্য ক্ষতিকর, কাঠও নিম্নমানের।
৩. মেহগনিঃ কাঠ ছাড়া অন্যকোন ব্যবহার নেই। এর ফল বিষাক্ত। এ ফল পুকুরের পানিতে পরলে বিষাক্রিয়ায় মাছ মরে যাবার মত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। 
৪. শিশুঃ এর কাঠ মাঝারি মানের, প্রকৃতি ও মানুষের সাথে অন্য কোন সম্পর্ক নাই।
৫. আকাশিয়াঃ কারণ এর মাইক্রোস্কপিক রেণু এলার্জি/এজমার অনুঘটক, কাঠ মাঝারি মানের, গঠন আকাবাঁকা, বাংলাদেশে অতিরিক্ত রোপিত।

কথায় আছে ছাগলে কি না খায়, কিন্তু এই পাঁচ বৃক্ষের পাতা ছাগলেও খায় না। পাখিও বাসা বাধেনা।

বন বিভাগের কাছে আবেদন রইলো, তাদের নিজস্ব নার্সারীতে ক্ষতিকর গাছের চারা উৎপাদন যেন বন্ধ করা হয়। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছের চারা বন বিভাগ রোপণ না করে যেন ফলের গাছ রোপণ করেন। 
দেশ ও দেশের পরিবেশ সবার উর্ধ্বে ।

ধন্যবাদ,
প্রিয়তী, আয়ারল্যান্ড থেকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত