জমজমের পানি সম্পর্কে কিছু তথ্য

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:৪৯

সাহস ডেস্ক

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জমজমের পানি যে যে নিয়তে পান করবে, তার সেই নিয়ত পূরণ হবে। যদি তুমি এই পানি রোগমুক্তির জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করবেন। যদি তুমি পিপাসা মেটানোর জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন। যদি তুমি ক্ষুধা দূর করার উদ্দেশ্যে তা পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা দূর করে তৃপ্তি দান করবেন।

জমজমের পানি সম্পর্কে  কিছু তথ্য জেনে নিন

- জমজমের পানি আল্লাহ তা'লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়।
- ভারি মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালের ন্যায় বিদ্যমান থাকে।
- আজ পর্যন্ত পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল।
- সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।
- এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মওসুমে ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।
- সৃষ্টির পর থেকে এর গুণাগুণ, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমাণে আছে।
- এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্টের পরিমাণ অন্যান্য পানির থেকে বেশি, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।
- এই পানিতে ফ্লোরাইডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এতে কোন জীবাণু জন্মায় না।
- এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
- জমজমের পানি দাঁড়িয়ে এবং তিন শ্বাসে পান করা সুন্নাহ। পান করার সময় নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা উচিত।
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ.
(حديث ضعيف/ رواه الدارقطنى وعبد الرزاق والحاكم عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَوْقُوْفًا)
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা ইলমান নাফি'আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা'আন মিন কুল্লি দা।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট কল্যাণকর জ্ঞান, প্রশস্ত রিজিক এবং যাবতীয় রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করিতেছি।
- আমরা জানি, জমজম কূপ (আরবি : زمزم) হলো মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কূপ। এটি কাবা থেকে ২০ মি.(৬৬ ফুট) দূরে অবস্থিত। 
- জমজমের বিষয়ে ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী, নবী ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী বিবি হাজেরা (আ.) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.) কে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে এই কূপের সৃষ্টি। মসজিদুল হারামে আগত আল্লাহর মেহমানগণ এখান থেকে পানি পান করেন। শুরুতে এটি হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পানীয় হিসেবে সৃষ্টি হয়েছিল।’ (ইবনে মাজাহ ও আল-আজরাকি)

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত