ইসলাম আক্রমণের অনুমতি দেয় না

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:২৩

সাহস ডেস্ক

মক্কা শান্তির নগরী ছিল। এ স্থান সবার জন্য ছিল নিরাপত্তার স্বর্গ। মারামারি, হত্যাকাণ্ড, জুলুম-অত্যাচার তো দূরের কথা দুশমনকেও কেউ মন্দ কথা বলতো না।

তাছাড়া ইসলামে কাউকেই প্রথমে আঘাত করার অনুমতি দেয়নি।  মক্কায় এমনিতেই সব ধরনের কলহ নিষিদ্ধ ছিল। তারপরও যদি কেউ মুসলমানদেরকে আঘাত করে তবে আঘাতকারীদেরকে প্রতিঘাত করার বিধান দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-

সুরা বাকারার ১৯১নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেন যে, তারা যাতে প্রথমেই কারো ওপর  হামলা না করে, যখন তারা আক্রান্ত হবে তখন যেন আক্রমণকারীদের আঘাত করে। তাছাড়া মদিনা মুনাওয়ারায় নাজিল  হওয়া জিহাদের প্রথম আয়াতও এটি।

এ আয়াত নাজিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধুমাত্র তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতেন; যারা তাঁর  সঙ্গে যুদ্ধরত হতো। আর যারা বিশ্বনবীর সঙ্গে যুদ্ধ করতো না; তিনিও তাদের সঙ্গে লড়াই করতেন না। এ আয়াতের বিধান  সুরা বারাতের নির্দেশ জারি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

এ আয়াতের আরও মর্মার্থ হলো- যুদ্ধ-বিগ্রহ, মারামারি, খুন-খারাবি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। তার ওপর হারাম মাসে পবিত্র  নগরী মক্কায় এ সব কাজ মারাত্মক অপরাধ।

আর আল্লাহর সঙ্গে শিরক, মানুষকে সত্য ধর্ম গ্রহণে বাঁধা দেওয়া, সত্য পথ থেকে বিচ্যুত রাখার অপচেষ্টা করা মারাত্মক  ফিতনা। এ ফিতনা মসজিদে হারামে হত্যাকাণ্ড থেকেও বড় অপরাধ।

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৯০ নং আয়াত

পরিশেষে...

পবিত্র নগরী মক্কা অবশ্যই সম্মানিত শহর। শান্তি ও নিরাপত্তার কেন্দ্র-ভূমি। কিন্তু যদি এ পবিত্র শহরে কেউ শান্তি বিনষ্ট করে  এবং হত্যার ন্যায় অপরাধ করে তবে এমন পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতকারীদের মোকাবেলা করা মুমিন ব্যক্তিদের ঈমানি দায়িত্ব ও  কর্তব্য। এজন্যই আল্লাহ তাআলা বলেছেন- তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করো না যতক্ষণ না তারা তোমাদের আক্রমণ তথা যুদ্ধ  করে।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দুনিয়ায় সকল নিন্দনীয় কাজ এবং ফিতনা থেকে  হিফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত