আজ শুভ জন্মাষ্টমী

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৭

সাহস ডেস্ক

আজ শুভ জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পৃথিবী থেকে দুরাচার, দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে পালন করে থাকে।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনে অন্যবারের মতো এবারও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে জাতীয় অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দিবস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। যেখানে অন্যায়-অবিচার ধরাধামকে গ্রাস করেছে, সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সব নাগরিকের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের আরাধনা করেছেন। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’

বর্তমান সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আমার বিশ্বাস।’

আজ সকালে ষোড়শ উপচারে পূজা শেষ করে প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ, জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে কৃষ্ণপূজা এবং কাল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, কৃষ্ণ ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীকে কলুষ মুক্ত করতে কংস, জরাসন্ধ ও শিশুপালসহ বিভিন্ন অত্যাচারিত রাজাদের ধ্বংস করেন এবং ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দু ধর্মমতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত লীলাকে কেন্দ্র করেই জন্মাষ্টমী উত্সব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত