চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভক্তদের চোখের জলে দুর্গার বিদায়

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০১৬, ১২:২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হয়েছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গা উৎসব। জেলায় এবার ১২২টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ছিল সদরে ৫৩, শিবগঞ্জে ৩১, গোমস্তাপুরে ২৬, নাচোলে ১০ ও ভোলাহাটে ২ টি মন্ডপ। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবে কোন প্রতিমা সবচাইতে সুন্দর ছিল তাঁর উপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে পুরস্কার। অনান্য বছরের ন্যয় এবারও দেশের অন্যতম বৃহৎ এবং বেশী প্রতিমা নিয়ে দুর্গাপুজা পালিত হয়েছে সদর উপজেলার বারঘরিয়ায় ‘বাইশ পুতুল সার্বজনীন দুর্গা’ মন্দিরে। 

বারঘরিয়া বাইশ পুতুল সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শ্রী মুণাল কান্তি পাল (শান্ত) জানান, বারঘরিয়া বাইশ পুতুল সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ১৭০৫ সালে নির্মিত হয়। ধনঞ্জয় সাহা নামের একজন ধনী ব্যক্তি নিজ সম্পত্তির উপর এটি নির্মান করেন। ৩১২ বছর থেকে এখানে পুজা হয়ে আসছে। ২২টি প্রতিমার সমন্বয়ে তৈরী সবচেয়ে বড় প্রতিমা থাকায় এই মন্দিরের প্রতিমা দর্শনে আসেন জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে অনেকেই। 

তিনি জানান, বিজয়া দশমী শেষে মঙ্গলবার রাতে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই জেলার পদ্মা, মহানন্দা, পাগলা ও পূর্নভবা নদীতে ভক্তদের চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দূর্গাপুজার উৎসব। তবে এর রেশ থাকবে আরও কয়দিন। 

গত পাঁচদিন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ পুজা মন্ডপগুলি পরিদর্শন করেছেন। তবে শেষদিন পর্যন্ত টানা বর্ষণ এবার ভূগিয়েছে উৎসবমূখর মানুষকে। এর সাথে ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহের ভেল্কিবাজি। এর পরেও বর্ণিল সাজে সাজানো মন্ডপগুলোয় সনাতন ধর্মাবলম্বিদের পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষ প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমায়। পুজা মন্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। এবার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল পটকাবাজি। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত