লালমনিরহাটে বন্যার আগাম সংকেত প্রেরণ যন্ত্রের উদ্ভাবন

লালমনিরহাট জেলা একটি বন্যাপ্রবণ এলাকা। তিস্তা ও ধরলা সহ ছোট বড় ১৩টি নদী এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এসব নদীর সাথে ভারতের সংযোগের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে রাতারাতি মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সর্বশান্ত হয় সাধারণ মানুষ।

তাই বন্যার আগাম সংকেত পাওয়া, নদীর পানির উচ্চতার হ্রাস বৃদ্ধি সর্ম্পকে তথ্য প্রদান করার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্যা ব্যবস্থাপনায় সংকেত সহজীকরণ প্রকল্প নামক একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কার্যালয়। যে যন্ত্রটি বন্যা প্রবণ এলাকায় বিশেষ করে চরাঞ্চলে স্থাপন করে সেখানকার মানুষকে বন্যার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
লালমনিরহাটে ডিজিটাল মেলায় সর্বসাধারনের জন্য স্বয়ংক্রিয় এ যন্ত্রটি প্রর্দশন করা হয়েছে এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীদেরকে এর কাজ সর্ম্পকে অবহিত করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী জানান, বন্যার আগাম সর্তক প্রদানকারী এ যন্ত্রটি সৌর বিদ্যুৎ শক্তি দ্বারা পরিচালিত একটি যন্ত্র। নদীর নিকটবর্তী সুবিধাজনক জায়গায় এটি ২৫ মিটার উচ্চ টাওয়ারে তিন রঙ্গের স্বয়ংক্রিয় বাতি দিয়ে স্থাপন করা হবে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যার সংকেতের মাধ্যমে নদী এলাকার মানুষ সহজেই সাইরেনের শব্দে পানি বাড়া কমার বিষয়টি জানতে পারবে এবং বন্যার পানি বাড়ি ঘরে প্রবেশ করার পূর্বেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবে। এর ফলে বন্যা এলাকার বা চাঞ্চলের মানুষের জান মাল ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে। এ সময় তিনি বন্যা এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে এ যন্ত্রটি নদী এলাকায় স্থাপনের জন্য সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন।