মহাকাশে SPACE-X ড্রাগন

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:৫৫

সাহস ডেস্ক

দ্বিতীয়বার সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে গেল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স-এর ড্রাগন ক্যাপসিউল। যদিও একদিন আগেই মহাকাশযানটি কেন্দ্রে পৌঁছানোর কথা থাকলেও জিপিএস ত্রুটির কারণে প্রথমদিন এটি ব্যর্থ হয়। মহাকাশ কেন্দ্র থেকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থান করে এটি। পরেরদিন আবার চেষ্টা করা হলে এটি সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় এটি অস্ট্রেলিয়ার ওপরে মহাকাশে ভাসমান ছিল। দ্বিতীয় চেষ্টায় মহাকাশ কেন্দ্রের নভোচারীরা এটির ৫৭ ফুট দীর্ঘ রোবোটিক হাত দিয়ে ক্যাপসিউলটি ধরতে সক্ষম হন। ড্রাগন মহাকাশযানটিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে থাকা নভোচারীদের জন্য পাঁচ হাজার পাউন্ড কার্গো এবং পরীক্ষার যন্ত্রাদি পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানে ছয়জন নভোচারী রয়েছেন। এর মধ্যে দুই জন আমেরিকার, তিনজন রাশিয়া এবং একজন ফরাসী।

যানটি কেন্দ্রে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নভোচারীদের। সামনের এক মাস যানটি মহাকাশ কেন্দ্রেই থাকবে। পরবর্তীতে মহাকাশ গবেষণার তথ্য নিয়ে এটি মাটিতে ফিরে আসবে। সামনের শুক্রবারে আরেকটি সরবরাহ যান পৌঁছাবে মহাকাশ কেন্দ্রে। এবারের যানটি আসবে রাশিয়া থেকে।

কার্গোতে পাঠানো গবেষণার বস্তুর মধ্যে ২০টি ইঁদুরও রয়েছে। মহাকাশে আঘাত পেলে সেগুলো কিভাবে ক্ষত থেকে সেরে ওঠে সেটিই পরীক্ষা করা হবে। একই গবেষণায় পৃথিবীতেও ২০টি ইঁদুর ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে স্পেসএক্স-এর এই রকেট উৎক্ষেপণকে ঐতিহাসিক তকমা দেওয়া হয়, কারণ ২০১১ সালের জুলাইয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র স্পেস শাটল অবসরে যাওয়ার পর এখান থেকে আর কোনও রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়নি। ২০১১-এর পর স্পেসএক্স-এর এটি ছিল কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এর প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ।

এই কমপ্লেক্স ৩৯ থেকেই চাঁদে অ্যাপোলো মিশন পাঠানো হয়েছিল। এবার এখান থেকেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ড্রাগন নামের মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত