গাড়িকে স্মার্ট করতে ৯ গ্যাজেট

প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৭, ১১:২২

সাহস ডেস্ক

যত দিন যাচ্ছে ততই আধুনিক হয়ে উঠছে গাড়ির মডেল। তবে নতুন গাড়ি না কিনেও প্রয়োজনীয় কিছু ডিভাইস ব্যবহার করেই আপনার প্রিয় গাড়িটিকে করে তুলতে পারেন অত্যাধুনিক। হাতের নাগালের মধ্যে থাকা ৯ দরকারি ডিভাইস যার সহায়তায় গাড়িকে সাজাতে পারেন আধুনিক হিসেবে।

১. টায়ার প্রেসার পরিমাপক 
ভুলভাল তথ্য দিলে টায়ারের বাতাস অতি দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। কিন্তু ডিজিটাল টায়ার পরিমাপক ব্যবহার করলে টায়ারের অবস্থা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত একটি ধারণা পাবেন। কারণ এটি প্রতি পাউন্ড স্কয়ার ইঞ্চির হিসাব দেখায়। ল্যান্টু ১৫০ পিএসআই ডিজিটাল টায়ার গেজ নামে এই যন্ত্রটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে সিট বেল্ট কাটার ও ফ্ল্যাশ লাইট। অনলাইন শপ অ্যামাজন ডটকমে এর মূল্য ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৯৫ ডলার।

২. সিট বেল্ট কাটার ও উইন্ডোগ্লাস ব্রেকার
এই ডিভাইস নামে যেরকম কাজেও সেরকম। কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যে একটি দেড় বছরের বাচ্চা গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েছিল। গাড়ির ভেতরেই চাবিসহ আটকে পড়া ওই অবুঝ শিশুকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে শিশুটিকে উদ্ধার করতে শুধু একটি সিট বেল্ট কাটার ও উইন্ডোগ্লাস ব্রেকারই যথেষ্ট ছিল। অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে ডিভাসটির দামও ১০ ডলার ৯৫ সেন্ট।

৩. ড্রপ স্টপ
সাধারণ এই কার অ্যাক্সেসরিসটি অতি দরকারি একটি গ্যাজেট। এই কার গেজেটটি গাড়ির সিট ও দরজার মাঝখানে বা দুই সিটের ফাঁকা অংশে বসানো হয়। এটি খাবার থেকে শুরু করে মোবাইল, লিপস্টিক, চশমা সব কিছুরই ভূপতন ঠেকাবে। এক সেট ড্রপ স্টপ কিনতে খরচ পড়বে ১৯ দশমমিক ৯৯ ডলার।

৪. ব্লাইন্ড স্টপ মিররস
আজ কালকার নতুন মডেলের গাড়িগুলোতে যুক্ত করা হচ্ছে ব্লাইন্ড স্পট নামের অতি প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। গাড়ির দুপাশে থাকা সাইড ভিউ মিরর দিয়ে শুধু রাস্তার আশেপাশে থাকা পথচারী বা যানবাহনগুলোই চোখে পড়ে। কিন্তু সাইড ভিউ মিরর দিয়ে নিজ গাড়ির অবস্থানটাই নজরে পড়ে না। ব্লাইন্ড স্পট সেই ঘাটতি পূরণ করেছে। পুরাতন গাড়িতে এই সুবিধা পেতে চাইলে আলাদাভাবে যুক্ত করে নিতে পারেন ব্লাইন্ড স্পট ডিভাইস। এটির মূল্য ৭.৯০ ডলার।

৫. জিপিএস ট্র্যাকার
স্মার্টফোনের সঙ্গে জিপিএস ট্র্যাকার সংযুক্ত থাকলে যেকোনো সময় জেনে নিতে পারবেন গাড়ির অবস্থান। কেউ গাড়ি চুরি করার চেষ্টা করলেও তাৎক্ষণিকভাবেই মোবাইলে পাওয়া যাবে সতর্কবার্তা।জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে আপনি ‘জিও ফেন্স’ অপশন সেট করতে পারবেন। এতে করে আপনার নির্ধারণ করে দেওয়া সীমানার বাইরে গাড়ি নিয়ে যাওয়া হলেই মোবাইলে ম্যাসেজ আকারে বা ইমেইলে চলে আসবে সতর্কবার্তা। ডিভাইসটি কিনতে হলে খরচ পড়বে ৪৯ ডলার। তবে ট্র্যাকিং সার্ভিসের সুবিধা পেতে হলে প্রতি মাস দিতে হবে সাবসক্রিপশন ফি।

৬. ইউএসবি কার চার্জার
পথে থাকা অবস্থায় ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া শুধু বিরক্তিকরই বরং বিপদজনক একটি ব্যাপার। তাই গাড়ির ভেতরে ফোন চার্জ করতে হলে ইউএসবি কার চার্জারই দিতে পারে সবচেয়ে সহজ সমাধান। একাধিক পোর্টের জন্য বেছে নিতে পারেন ম্যাক্সবুস্ট ইউএসবি চার্জার। কিনতে গেলে এর দাম পড়বে ৯ দশমিক ৯৯ ডলার।

৭. ব্লু টুথ কার কিট
ব্লু টুথের মাধ্যমে স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হলে নতুন গাড়ি কেনার কোনো প্রয়োজন নেই। পুরানো গাড়িতে ব্লু টুথ কার কিট সেট করেও শুনতে পারেন গান, করতে পারেন ফোন কল। হ্যান্ডস ফ্রি এই গেজেটটির দাম ১৭ দশমিক ৪৯ ডলার।

৮. স্মার্টফোন মাউন্ট
অচেনা রাস্তায় ড্রাইভ করার সময় ক্ষণে ক্ষণেই গুগল বা অ্যাপল ম্যাপের সাহায্য নিতে হয়। গাড়ি চালাতে চালাতে সিটের ওপরে রাখা স্মার্টফোনটিতে চোখ বোলানো একটু ঝক্কির ব্যাপারই বটে। এই সমস্যার সহজ সমাধানের নাম স্মার্টফোন মাউন্ট। গাড়ির সামনের অংশে স্মার্টফোন মাউন্ট বসালে গুগল ম্যাপ আপনার দৃষ্টি সীমানার মধ্যেই থাকবে। স্মার্টফোন মাউন্ট বা হোল্ডারের দাম পড়বে ২৪ দশমিক ৯৫ ডলার।

৯. কি ফাইন্ডার
গাড়ির চাবি হারিয়ে গেলেও আর দুঃচিন্তা নেই। কারণ মোবাইলের সঙ্গে টাইল ট্র্যাকার নামে একটি ডিভাইস যুক্ত থাকলেই রিংটোন বেজে উঠবে গাড়ির চাবিতে। দূরে কোথাও চাবি ফেলে আসলেও সমস্যা নেই। কি ফাইন্ডার অ্যাপটির সঙ্গে টাইল ট্র্যাকারের সমন্বয় ঘটানো থাকলে স্মার্টফোনে ভেসে উঠবে চাবির সর্বশেষ লোকেশন। একটি টাইল ট্র্যাকার কিনতে খরচ হবে ২৪ দশমিক ৯৯ ডলার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত