‘হার্নেসিং আইপিআর ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ ইন বাংলাদেশ অপর্চুনিটিজ, চ্যালেঞ্জেস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:২৫

সাহস ডেস্ক

একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরাম-এর যৌথ আয়োজনে “হার্নেসিং আইপিআর ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ ইন বাংলাদেশঃ অপর্চুনিটিজ, চ্যালেঞ্জেস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড” শীর্ষক সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। 

১৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর এমিরেটাস, মিচেল হ্যামলিন স্কুল, হ্যামিল্টন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং পরিচালক, বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংস্থা (ওআইপো) প্রফেসর জে. এ. আর্স্টলিং। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কার্যকর মেধাসত্ত্ব ব্যবস্থা ও অবকাঠামো বিনির্মাণে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা ও গুরুত্ব আরোপ করার লক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। যা বাংলাদেশ আইপিআর এর গুরুত্ব অনুধাবণের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

এটুআই প্রোগ্রামের পরিচালক (ইনোভেশন) এবং যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রফেসর জে এ আর্স্টলিং তার বক্তব্যে সুদীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মেধাসত্ত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রফেসর জে এ আর্স্টলিং বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে প্রয়োজন নতুন নতুন উদ্ভাবন। একই সঙ্গে নতুন নতুন উদ্ভাবন যুগোপযোগী আইনের মাধ্যমে মেধাসত্ত্ব নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মেধাসত্ত্ব আইনকে যুগোপযোগী করার জন্য তার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে, তিনি সদা প্রস্তুত থাকবেন বলে জানান। তিনি মনে করেন, এখন বাংলাদেশের উচিত হবে মাদ্রিদ ও পিসিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করার ব্যাপারে বিবেচনা করা যার মাধ্যমে বাংলাদেশী উদ্ভাবনকে বহির্বিশ্বে সুরক্ষা প্রদান করা যাবে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আরও আগ্রহী হবেন এবং ট্রিপস চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত সুবিধাসমূহও বঞ্চিত হবে না।

বাংলাদেশ আইপি ফোরামের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান বলেন, দেশে মেধাসত্ত্ব নিশ্চিত করার সংস্কৃতি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ আইপি ফোরাম। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত মেধাসত্ত্ব নিয়ে কাজ করছে। গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের সিএমও প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা, কপিরাইট আইনের সংশোধন, খসড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের রিভিউসহ আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

সেমিনারে প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মনজুরুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর আর. চৌধুরী, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরামের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল ও তথ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরাম এবং এটুআই প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত