দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছানো হবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে

প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৮, ১৫:৪৩

সাহস ডেস্ক

দেশে যেসব অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি তার মধ্যে ইউনিয়ন রয়েছে ৭৭২টি। যার মধ্যে ২২৬টি একেবারে দুর্গম এলাকায়। এর মধ্যে দুই শতাধিক হাওর, বিল, প্রত্যন্ত এলাকা ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও রয়েছে।  জানা গেছে, এসব এলাকায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১এর মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছানো হবে।

ইন্টারনেট পৌঁছালে ওইসব এলাকার শিক্ষার্থী, তরুণরা জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রোগ্রামিংয়ে তারা পিছিয়ে থাকবে না। ডাক্তার দেখাতে জেলা শহর বা ঢাকায় আসতে হবে না। টেলিমেডিসিনের (দূর-চিকিৎসা) মাধ্যমে  এলাকায় বসে রোগী নামকরা চিকিৎসক দেখাতে পারবেন, পাবেন ব্যবস্থাপত্র। দ্বীপ এলাকার জেলেদের মাছের দাম জানার জন্য অন্যের পেছনে ছুটতে হবে না, স্মার্টফোনের মাধ্যমে বা বাজার থেকে জেনে দিয়ে ন্যায্য দামে  বিক্রি করতে পারবেন মাছ।

এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা বলেন, আমার প্রথম লক্ষ্য বাড়ি বাড়ি ইন্টারনেট। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। সেটা তৈরি করতে গিয়ে দেখেছি এখনও দেশের ৭৭২টি ইউনিয়ন কানেক্টিভিটির আওতায় নেই। এর মধ্যে আবার ২২৬টি আবার অতি দুর্গম এলাকায়। এই ইউনিয়নগুলো এবং ছিটমহলেও ইন্টারনেট পৌঁছতে হবে। আমরা ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছুতে পারলে  আইএসপিগুলোকে (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) বলবো তোমরা এবার বাড়ি বাড়ি ইন্টারনেট পৌঁছে দাও। সব জায়গায় তো আর বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সেখানকার স্কুল, কলেজ, বাজারে ইন্টারনেট  পৌঁছানো হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব দুর্গম এলাকায় ক্যাবলের (ফাইবার অপটিক) মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছানো যাবে না সেখানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দিয়ে পৌঁছানো হবে। এরমধ্যে কয়েকটি দ্বীপ এলাকা, ছিটমহল, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা  রয়েছে। বিটিআরসি’র সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের (এসওএফ) এক হাজার ২০০ কোটি টাকার ওপরে জমা রয়েছে। টাকাগুলো ব্যাংকে পড়ে থাকার কোনও মানে হয় না। এসওএফ  ফান্ডের টাকা দিয়ে ৭৭২টি ইউনিয়নে  ইন্টারনেট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। এসওএফ-এর আগামী মিটিংয়ে ফান্ডের টাকা খরচের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের বিভিন্ন দ্বীপ এলাকা, হাওর, ছিটমহল, প্রত্যন্ত এলাকা ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছাতে পারলে ইন্টারনেট নির্ভর শিক্ষা দেওয়ার হবে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া টেলিমেডিসিন (দূর  চিকিৎসা) সেবা চালুর মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমানো যাবে।জটিল রোগীর চিকিৎসা গ্রামে বসেই করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, সার্ক স্যাটেলাইট (সাউথ এশিয়ান স্যাটেলাইট) বাংলাদেশের ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যদি সার্ক সাটেলাইট বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারে তাহলে দ্বীপ এলাকা, ছিটমহল, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সার্ক  স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইন্টারনেট পৌঁছানো হবে। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে এ কাজে ব্যবহার না করে তখন ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হবে। সার্ক স্যাটেলাইট ব্যবহার করা সম্ভব না হলে তখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটই হবে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর ইন্টারনেটের উৎস।

সাহস২৪.কম/রনি/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত