পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানা হতে পারে ফেসবুকের

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৮, ১১:২৪

সাহস ডেস্ক

ব্রিটেনের তথ্য অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ফেসবুককে পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানার পরিকল্পনা করছে। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির জের ধরে এই জরিমানার কথা ভাবছে ব্রিটেনের তথ্য কমিশনারের অফিস। ব্রিটেনে এটাই হবে এ ধরণের সবচেয়ে বড় অংকের জরিমানা।

তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ জরিমানার পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি। জরিমানা নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোন আপিল করবে কিনা সেজন্য তাদের হাতে ২৮ দিন সময় আছে। সূত্র বিবিসি।

অভিযোগ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে। ফলে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার বিষয়ে গণভোটের ফলাফল প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরে মোট ৮ কোটি ৭০ লাভ গ্রাহকের তথ্য চুরির খবর নিশ্চিত করে।

তথ্য অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাটি আরো জানিয়েছে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি বিলুপ্ত হওয়া ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সহযোগী সংস্থা এসসিএল ইলেকশনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার কথাও ভাবছে।

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে সে সংক্রান্ত কোন ব্যাখ্যা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে ব্যাখ্যা করেনি। এর পাশাপাশি সংস্থাটি ব্রিটেনের ১১টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়েছে যাতে তারা তাদের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে এবং সেটি ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা নিরীক্ষা করে।

ব্রিটেনে ব্রেক্সিট প্রশ্নে গণভোটের সময় রাজনৈতিক প্রচারণায় জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। এ তদন্ত শুরুর ১৬ মাস পরে ব্রিটেনের তথ্য কমিশনারের অফিস থেকে ফেসবুককে জরিমানার উদ্যোগ এসেছে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যেসব ব্যক্তিগত তথ্য ছিল সেগুলো যাতে তারা মুছে ফেলে সেটি ফেসবুক নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে ফেসবুকের নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে তথ্য কমিশনারের অফিস।

তবে বন্ধ হয়ে যাবার আগে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা জানিয়েছিল যে ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ পাবার পর তারা সব তথ্য মুছে ফেলেছে। কিন্তু তথ্য কমিশনার অফিস বলছে সেসব তথ্য যে অন্যদের দেয়া হয়েছে সে সংক্রান্ত প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।

তীব্র বিতর্কের মুখে গত মে মাসে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেবার ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে গত এপ্রিল মাসে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ-কক্ষে বিচার ও বাণিজ্য বিষয়ক যৌথ কমিটির ৪৪ জন সিনেটরের মুখোমুখি হন মার্ক জাকারবার্গ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত