অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে অফিস চালু করতে যাচ্ছে ইউটিউব

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০৫

অনলাইন ডেস্ক

আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে বাংলাদেশে অফিস চালু করতে যাচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল ইউটিউব। এরই অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে ইউটিউবের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এ দলে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা থাকবেন, যারা বাংলাদেশ সফরকালে সরকারের একাধিক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের ৬১তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে অফিস চালু করতে যাচ্ছে ইউটিউব। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিজিটাল বিপণনের বড় ক্ষেত্র তৈরি, বাজেট বৃদ্ধি, কনটেন্ট বৃদ্ধি, চ্যানেলের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদিতে চোখ পড়েছে পোর্টালটির কর্তাদের। সূত্রগুলো আরও জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ অবস্থান করছে বলে মনে করছেন ইউটিউবের কর্মকর্তারা।

একটি সূত্র মনে করে, হালে বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ইউটিউব চ্যানেলে নাটক প্রচার, কিছু কিছু গান ‘কোটি ভিউ’ পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারটিকে ‘অমিত সম্ভাবনাময়’ বলে মনে করছে ইউটিউব।

এ ব্যাপারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা আশা করছি, মাস দুয়েকের মধ্যে বাংলাদেশে ইউটিউবের অফিস চালু হবে। ইউটিউব মনে করছে, বাংলাদেশ তার জন্য নতুন বিজনেস হাব হবে। ইউটিউব এলে বিষয়টি (রেসপন্স পাওয়া) আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের কর্ণধার তাকে (মন্ত্রীকে) জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি ইউটিউব থেকে একটি ‘গোল্ডেন বাটন’ পেয়েছেন। এমনকি, সিএমএস–এর (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) দায়িত্বও পেয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাকে একটি মাধ্যম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বাই অক্টোবর আপনি দেশে ইউটিউবের অফিস পাচ্ছেন। এটা একটা (ইউটিউব) গোল্ড মাইন (স্বর্ণ খনি), যদি ঠিকমতো পরিচর্যা করা যায়। ইউটিউবে বাংলাদেশের কনটেন্ট কম। টিভি চ্যানেলগুলো নাটকসহ অন্যান্য কনটেন্ট দিয়ে চলছে। এর বাইরে কনটেন্টের প্রচুর চাহিদা। আমাদের ওই জায়গাটা ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, চ্যানেলগুলো শুরুতে যে অবস্থায় ছিল, সেখান থেকে তাদের ব্যবসা ইউটিউবে অন্তত ১০০ গুণ বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ইউটিউবের ট্রাস্টেড ফ্ল্যাগার ‘প্রেনিউর ল্যাব’-এর প্রধান নির্বাহী আরিফ নিজামী বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য সুখবর। এতে অন্তত বোঝা যায়, বাংলাদেশকে ইউটিউব কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।