ফাঁকি দেওয়া করের ১০২৩ কোটি টাকা দিতেই হবে গ্রামীণফোনকে

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫৪ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৭, ১৮:৪৯

অনলাইন ডেস্ক

জুলাই ২০০৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত ৫ অর্থবছরে ফাঁকি দেওয়া ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকার কর দিতেই হচ্ছে দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোকে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোনের কর ফাঁকির পরিমাণ ১ হাজার ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। যা দেশের ৪টি বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরের ফাঁকি দেওয়া মোট করের অর্ধেকেরও বেশি।

অন্য ৩ কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৩২ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার কর ফাঁকি দিয়েছিল দ্বিতীয়তে আছে বাংলালিংক। এছাড়া রবি ৪১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার এবং এয়ারটেল ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ ২৪ হাজার টাকার কর ফাঁকি দিয়েছিল।

ওই করের অর্থ পরিশোধ থেকে বিরত থাকতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিল মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো। এতে বিশেষ কোনো সুবিধা পাওয়া যায়নি। গত ২৯ জুন ওই মামলার রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এতে কোম্পানিগুলোকে ওই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। ফলে গ্রামীণফোনসহ দেশের ৪ বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে ওই ৫ অর্থবছরের ফাঁকি দেওয়া কর পরিশোধ করতেই হবে।

এদিকে নতুন করে দেশের বেসরকারি ৪ মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ তুলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

এনবিআর তথ্য মতে, জুলাই’২০১২ থেকে জুন’২০১৫ পর্যন্ত ৩ অর্থবছরে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সিম রিপ্লেসমেন্ট বাবদ ৮৮৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে কোম্পনিগুলো। এর মধ্যে শুধু গ্রামীণফোনের কর ফাঁকির পরিমাণ ৩৭৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

অন্য ৩ কোম্পানির মধ্যে রবির কাছে ২৮৫ কোটি ২০ লাখ টাকা; বাংলালিংকের কাছে ১৬৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ৫০ কোটি ২৬ লাখ টাকা দাবি করেছে সরকারের রাজস্ব আহরণকারী সংস্থা এনবিআর। পুরোনো সিম আবার বিক্রির মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া করের এই অর্থ চেয়ে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেলকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটির বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)।