সিটিসেলের ঘটনাটি দুঃখজনক, সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিটিআরসি

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৪৯

সাহস ডেস্ক

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানিয়েছেন, দেশের বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান সিটিসেলের ব্যাপারে সরকার  সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে  সিটিসেলের প্রতিনিধিরা বিটিআরসির সঙ্গে আলাপ করছে।

বুধবার (৩ আগস্ট) বিটিআরসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শাহজাহান মাহমুদ। দেশব্যাপী অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত জিআইএস মানচিত্র তৈরি সংক্রান্ত বিষয়ে জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ আরও বলেন, ‘সিটিসেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এ আলাপের বিষয়টি আমরা সরকারকে জানাব। এখন বকেয়া টাকা নেব কি নেব না তা সরকারের সিদ্ধান্ত।’

সিম পুনর্নিবন্ধনের পর সিটিসেলে গ্রাহকসংখ্যা দেড় থেকে দুই লাখে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান।

তিনি আরো বলেন, ‘এর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের যে নির্দেশনা আছে সে অনুযায়ী কাজ করব।’

শাহজাহান মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব অপারেটরকে সমান চোখে দেখি। আমাদের সুপারিশে পক্ষপাতিত্ব নেই। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’

কিছুদিন পরই চালু হতে যাচ্ছে নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ (এমএনপি)। সিটিসেলের গ্রাহকদের জন্য ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেত কি না এ প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমএনপি চালুর সঙ্গে সিটিসেলের বিষয়টির কোনো সম্পর্ক নেই।’

এদিকে, বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় যেকোনো সময় সিটিসেল বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিটিআরসি। বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য সিটিসেল গ্রাহকদের আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে বিটিআরসি। গত রবিবার বিটিআরসির পরিচালক এম এ তালেব হোসেন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিটিসেলের গ্রাহকদের প্রতি ওই অনুরোধের কথা জানান।

সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে সর্বমোট ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তরঙ্গ ফি নবায়নের দুটি কিস্তির অর্থ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও পরিশোধ করেনি সিটিসেল। এ ছাড়া স্পেকট্রাম নবায়নের ফি, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলসহ বিভিন্ন খাতের পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি ওই প্রতিষ্ঠান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত